প্যারিস: ক্যাসপার রুডকে হারিয়ে ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ। নাদালকে টপকে সর্বাধিক ২৩ গ্র্যান্ডস্লাম ঝুলিতে। তিন সেটের লড়াইয়ে ৭-৬, ৬-৩, ৭-৫ গেমে জয়। সবচেয়ে বেশি বয়সে রোলঁ গ্যারোজ়ে খেতাব জয়। বিশ্বের ১ নম্বর কার্লোস আলরারাজকে সেমিফাইনালে হারানোর পরই সবাই ধরেই নিয়েছিল যে ২৩তম গ্র্যান্ডস্লাম আসাটা সময়ের অপেক্ষা। এদিন ঠিক সেটাই হল। তবে কিছুটা লড়াই করতে হল। নরওয়ের ক্যাসপার রুডের বিরুদ্ধে প্রায় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের লড়াই শেষে কেরিয়ারের তৃতীয় ফরাসি ওপেন জিতে নিলেন জোকার। পুরুষদের টেনিসে জোকারই একমাত্র প্লেয়ার যিনি প্রতিটি গ্র্যান্ডস্লাম অন্তত তিনবার করে জিতেছেন।


 






এদিন ম্যাচের প্রথম তিনটি গেমে কিছুটা সমস্যায় পড়ছিলেন জোকার। প্রথম সেটে বেশ লড়াইও হয়। কিন্তু বাকিটা ইতিহাস। টানা ২ বার ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠলেও রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ক্যাসপার রুডকে। গতবার নাদাল ও এবার জকোভিচের কাছে হারতে হল তাঁকে। এদিন জকোভিচ আরও একটি কৃতিত্ব গড়লেন। ৩৬ বছর ২০ দিন বয়সে সবচেয়ে বেশি বয়সি টেনিস প্লেয়ার হিসেবে লাল সুড়কির কোর্টে খেতাব জিতলেন। এদিকে যে নাদালকে টেক্কা দিয়ে গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের নিরিখে সবার ওপরে চলে গেলেন, সেই নাদাল ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানালেন জোকারকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্বিয়ান তারকার উদ্দেশে রাফা লেখেন, ''অসাধারণ এই কৃতিত্বের জন্য তোমাকে অনেক শুভেচ্ছা জকোভিচ। ২৩ এমন একটি সংখ্যা, যা কয়েক বছর আগে ভাবতেও অসম্ভব মনে হত। তুমি আজ করে দেখালে। পরিবার এবং দলের সঙ্গে এই জয় উপভোগ করো।'' উল্লেখ্য, নিজের ২২ টি গ্র্যান্ডস্লামের ১৪টিই নাদাল জিতেছেন লাল সুড়কির কোর্টে। কিন্তু তিনি এবার আগেই টুর্নামেন্ট থেকে চোটের জন্য সরে দাঁড়ানোয় জকোভিচই ছিলেন হট ফেভারিট। 


এদিন ফ্রান্সের ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিহু, সুইডেনের জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ, অভিনেতা হিউ গ্রান্ট, আমেরিকার ফুটবলের খেলোয়াড় টম ব্র্যাডি এসেছিলেন জকোভিচের খেলা দেখতে। ২০০৮ সালে প্রথমবার গ্র্যান্ডস্লাম খেলেছিলেন। ২০২৩ সালে এসে ফেডেরার, নাদালকে টপকে নোভাক জকোভিচই পুরুষদের টেনিসে সর্বাধিক গ্র্যান্ডস্লামের মালিক হয়ে গেলেন।