ক্রাইস্টচার্চ: শেষ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নিউজিল্যান্ডের রস টেলর। তাঁর কেরিয়ারের শেষ টেস্টে তিনদিনেই বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১১৭ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই হারের ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে বড় ব্যবধানে জয় পেল কিউয়িরা।
প্রথম টেস্টে হারের পর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে রস টেলরকে ভালভাবেই বিদায় জানালেন তাঁর সতীর্থরা। এই টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংস ২৮ রান করেন রস টেলর। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের আর ব্যাটিং করতে হয়নি। তবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস তথা ম্যাচের শেষ উইকেটটি নেন রস টেলর। তাঁর বলে ক্যাচ নেন টম ল্যাথাম। এই ম্যাচে ৬টি ক্যাচ নিলেন ল্যাথাম। ইবাদত হোসেনকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন রস টেলর। ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাট থেকে সরে যাওয়ার মুহূর্তে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
এই টেস্ট ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মোমিনুল হক। তাঁর এই সিদ্ধান্তই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিল বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫২১ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় নিউজিল্যান্ড। ওপেন করতে নেমে ২৫২ রান করেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ল্যাথাম। অপর ওপেনার উইল ইয়াং করেন ৫৪ রান। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা ডেভন কনওয়ে করেন ১০৯ রান। ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন টম ব্লান্ডেল। বাংলাদেশের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। একটি উইকেট নেন মোমিনুল।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১২৬ রানে। ৫৫ রান করেন ইয়াসির আলি। ৪১ রান করেন নুরুল হাসান। এছাড়া অন্য কোনও ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ৫ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি। ২ উইকেট নেন কাইল জেমিয়েসন।
এরপর ফলো অন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১০২ রান করেন লিটন দাস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে জেমিয়েসন ৪, নিল ওয়্যাগনার ৩ এবং সাউদি, ড্যারিল মিচেল ও রস টেলর একটি করে উইকেট নেন।