আমদাবাদ : ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের আগে এখন জোর চর্চায় আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, রবিবার ম্যাচের আগে পিচ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন আইসিসি-র হেড পিচ কিউরেটর অ্যান্ডি অ্য়াটকিনসন। এর আগে এই সংবাদ সংস্থার তরফেই জানানো হয়েছিল, অ্যাটকিনসন ভারত ছাড়ার পর, ফাইনাল ম্যাচের পিচ প্রস্তুতি দেখছেন বিসিসিআইয়ের কিউরেটররা। পরে অবশ্য পিটিআই জানায়, ফাইনালের আগে বিসিসিআই কিউরেটরদের সঙ্গে যোগ দেবেন অ্যাটকিনসন। খবর অনুযায়ী, এর আগে আইসিসি-র হেড পিচ কিউরেটর অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচে 'নতুন' নয়, ব্যবহৃত পিচ ব্যবহার করা হয়েছিল।


শুক্রবার পিটিআই খবর করে, "রবিবারে মেগা ফাইনালের পিচ প্রস্তুতির তত্ত্বাবধান করেছেন বিসিসিআইয়ের সিনিয়র দুই চিফ গ্রাউন্ড স্টাফ আশিস ভৌমিক ও তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড তাপস চ্যাটার্জি। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় সিমার ও বিসিসিআইয়ের জিএম(ঘরোয়া ক্রিকেটে) আবে কুরুভিল্লা।"  রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ভারী রোলার ব্যবহার করে ফাইনালের জন্য স্লো ট্র্যাক তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমে যারা ব্যাট করবে তারা অপর পক্ষের থেকে এগিয়ে থাকতে পারে। যদিও রিপোর্টে এটা বলা হয়নি, নতুন পিচ থাকবে নাকি কোনও ব্যবহৃত পিচ।


সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাজ্য সংস্থার এক কিউরেটর জানিয়েছেন, "কালো মাটিতে যদি ভারী রোলার ব্যবহার করা হয়, তাহলে স্লো ব্যাটিং ট্র্যাক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে বড় রান পাওয়া যেতে পেরে। কিন্তু, সবসময় কেউ পেটাতে পারে না। তাই, ৩১৫ রান তুললে তা ডিফেন্ডেবল হতে পারে। কারণ, পরে ব্যাট করলে তা কঠিন হয়ে পড়বে।"


আগামীকাল ভারত-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচের আগে পিচ নিয়ে অদ্ভুত কথা বললেন অজি অধিনায়ক প্য়াট কামিন্স। তিনি নাকি বোঝেনই না পিচের আচরণ, প্রকৃতি সম্পর্কে। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে এসে কামিন্স বলেন, ''আমি মূলত পিচ নিয়ে খুব বেশি বুঝি না। খুব বেশি জ্ঞান নেই। জল দেওয়া হয়েছে পিচে জানি। তবে আরও ২৪ ঘণ্টা যাক। ম্য়াচের আগে পিচ দেখে বোঝা যাবে কেমন হতে পারে। তবে যা মনে হচ্ছে উইকেট বেশ ভালই হবে।'' নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিও আয়োজিত হয়েছিল এই স্টেডিয়ামেই। স্পিনাররা এই পিচে সুবিধে পেয়ে এসেছেন। চলতি টুর্নামেন্টে এই মাঠে পেসাররা ৩৫ উইকেট নিয়েছেন। যদিও স্পিনাররা ২২ উইকেট নিয়েছেন। তবে এখানকার পিচ ব্যাটারদের খুবই সাহায্য করে। প্রচুর রান ওঠে এখানকার পিচে।