ঢাকা: এমন একটা ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ, যে দেশের মানুষের কাছে ক্রিকেট একটা আবেগের সমান। ২২ গজের লড়াইয়ে বিশ্বমঞ্চে (ICC Cricket Event) কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়া আহামরি সাফল্য নেই। তবে আশা রয়েছে, ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা রয়েছে, ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে। ১৯৭৫-১৯৯৬ পর্যন্ত আইসিসি সদস্য মর্যাদা না পাওয়ায় বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেনি বাংলাদেশ (Bangladesh Cricket Team)। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার সুযোগ। এরপর থেকে আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপে মোট ৪২টি ম্যাচ খেলে মোট ১৪টি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টাইগাররা। ২৫টি ম্যাচ হারতে হয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ৯ ম্যাচের মধ্য়ে মাত্র ৩টি-তে জিতে। এবার কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে আয়োজিত এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ডার্কহর্স বাংলাদেশই।
সাম্প্রতিক ফর্ম
আসন্ন বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যা টাইগারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এর আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বিদায় নিলেও সেখানে ভারতের মত শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিয়েছিল শাকিবের দল। কিউয়িদের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে অবশ্য একটিও ম্য়াচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
শক্তি
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান শক্তি তাঁদের বোলিং আক্রমণ। মুস্তাফিজুর ও তাসকিন আহমেদের মত অভিজ্ঞ পেসার রয়েছেন। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন। স্পিন বিভাগে অধিনায়ক শাকিব রয়েছেন। তার সঙ্গে মেহদি হাসান ও মেহদি হাসান মিরাজ। বিশ্বের অন্য়তম সেরা অলরাউন্ডার শাকিব। সাত হাজারের ওপর রান ব্যাটে, তিনশোর বেশি উইকেট ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে। যে কোনও দলের কাছে সম্পদ শাকিবের মত ক্রিকেটার থাকা। মুস্তাফিজুরের অফ কাটার যে কোনও ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতে পারে টুর্নামেন্টে। এই ফর্ম্যাটে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৫৬টি উইকেট। তাসকিনের ঝুলিতে ৯০টি উইকেট রয়েছে। পেস বিভাগকে এই দুজনেই নেতৃত্ব দেবেন। ব্যাটিং বিভাগে মুশফিকুর রহমান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উপস্থিতি মিডল অর্ডারে ভারসাম্য বাড়াবে। টপ অর্ডারে লিটন দাস আসন্ন বিশ্বকাপে ব্যাটিং বিভাগে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন এই শিবিরের।
দুর্বলতা
বিশ্বকাপের আগে থেকে দলের ভেতরে বিভাজন তৈরি হয়ে গিয়েছে। যার ফলে প্রায় কথা বলা বন্ধ এক দশক একসঙ্গে দেশের হয়ে খেলা ২ তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। শাকিবের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপ দলে তামিম জায়গাও পাননি। যার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সে দেশের মানুষই শাকিবের সমালোচনা করছেন। বিশ্বকাপের মত মঞ্চে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের অন্য়তম সেরা ব্য়াটারের না থাকা কিছুটা হলেও চাপ থাকবে। এছাড়াও ব্যাটিং বিভাগ পুরোটাই মূলত মুশফিকুর, লিটন, শাকিবের ওপর নির্ভরশীল। বাকিরা সবাই অনভিজ্ঞ। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত উইকেট হারানো অন্যতম দুর্বল দিক দলের। এছাড়াও মুশফিকুরের সাম্প্রতিক ফর্মও চিন্তায় রাখবে ম্য়ানেজমেন্টকে।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড: শাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, মেহদি হাসান, তানজিম শাকিব, তানজিদ তামিম