কলকাতা: আসন্ন ওয়ান ডে বিশ্বকাপে (ICC World Cup) একটি সেমিফাইনাল-সহ মোট ৫ ম্যাচ আয়োজনের বরাত পেয়েছে সিএবি (CAB)। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) রয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা হাইভোল্টেজ ম্যাচও। তবে ভারত বনাম পাকিস্তান মহারণ আয়োজিত হবে আমদাবাদে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ১৫ অক্টোবর হবে সেই বহু প্রতীক্ষিত ম্যাচ।


কিন্তু ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ইডেনেও হতে পারে ভারত-পাক মেগা ম্যাচ? কিন্তু কীভাবে সম্ভব? তাহলে কি আমদাবাদের বিকল্প ভেন্যু হিসাবে ইডেনকে তৈরি থাকার কোনও বার্তা দিয়েছে আইসিসি বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড?


মঙ্গলবার রাত থেকে আচমকাই এরকম জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন মহলে। অনেকে গুজব বলে গোটা ঘটনা উড়িয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়ম বলছে, ভারত-পাক ম্যাচ হতে পারে ইডেনে। কীভাবে?


চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আয়োজনের বরাত পেয়েছে ইডেন। প্রথম সেমিফাইনালটি হবে ওয়াংখেড়েতে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে দুই দলের মোলাকাত হবে ইডেনে।


মঙ্গলবার আইসিসি-র তরফে যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ভারত সেমিফাইনালে উঠলে ওয়াংখেড়েতে খেলা হতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান শেষ চারে ওঠা মানে ইডেনেই হবে ম্যাচ। আর ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হলে সেই ম্যাচ হবে ইডেনেই। যেহেতু ওয়াংখেড়েতে পাক দলকে নিয়ে যাওয়ার কোনও চেষ্টাই করবে না বোর্ড। অতীতেও পাকিস্তানের ম্যাচে শিবসেনার পিচ খুঁড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেমিফাইনালে উঠলে পাকিস্তানের ম্যাচ হবে কলকাতাতেই।


কিন্তু চেন্নাই বা বেঙ্গালুরুর হাত থেকে সেমিফাইনাল ছিনিয়ে আনলেন, স্লগ ওভারে ম্যাচ ঘুরল কীভাবে? এবিপি লাইভের প্রশ্নে স্নেহাশিস ইঙ্গিতপূর্ণভাবে হেসে বললেন, 'সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শেষ ওভারে কী হবে, কেউ জানে না। ৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের রাশ হাতে রেখেও ৫ ওভারে ম্যাচ ঘুরে যায়।' যোগ করলেন, 'জয় শাহকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, ইডেনকে কীভাবে ঢেলে সাজাচ্ছি। গোটা সংস্কারকার্যের নকশা নিয়ে গিয়েছিলাম। কবে কাজ শেষ হয়ে যাবে, সেটাও দেখিয়েছিলাম। ১৬টা কর্পোরেট বক্স হচ্ছে। ঝকঝকে প্রেস বক্স, কনফারেন্স রুম, ড্রেসিংরুম। সব দেখে জয় শাহও খুশি।'


কিন্তু উৎসবের মধ্যে ম্যাচ, বিশেষ করে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড হাইভোল্টেজ ম্যাচ কালীপুজোর দিন, চ্যালেঞ্জিং হবে না? স্নেহাশিস বলছেন, 'চ্যালেঞ্জ তো নিয়েই ফেলেছি। এর আগে গঙ্গাসাগর মেলার সময় ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ করেছিলাম। কলকাতা পুলিশ সহযোগিতা করেছিল। গঙ্গাসাগরের সময় ২ লক্ষ-আড়াই লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। তার মধ্যেই ৬৫ হাজারের গ্যালারি ভরে গিয়েছিল। এবারও আত্মবিশ্বাসী আমরা।'


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: উদ্যোগী দাদা স্নেহাশিস, বিশ্বকাপে বড় দায়িত্ব পেতে পারেন সৌরভ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial