সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বিরাট-সেঞ্চুরি রয়েছে এই মাঠেই। চলতি বিশ্বকাপে (ODI World Cup) রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, রাচিন রবীন্দ্রদের ব্যাটিং ঝড় রয়েছে। ক্রিকেটের ইতিহাসে একের পর এক মণিমুক্ত তৈরি হচ্ছে টুর্নামেন্ট জুড়ে।
তবু ওই একটা ইনিংসের ঘোর যেন এখনও কাটেনি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং তাণ্ডব। ৯১/৭ হয়ে যাওয়া দলকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জেতানো ডাবল সেঞ্চুরি। সেই ম্যাচে তাঁর ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংসকে সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তিও ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা বলে চিহ্নিত করে দিয়েছেন।
এবার কি ম্যাড-ম্যাক্সের দেখা মিলবে ইডেন গার্ডেন্সে? লক্ষীবারে ক্রিকেটের নন্দনকাননে কি আছড়ে পড়বে চার-ছক্কার ঝড়?
সোমবার সন্ধ্যায় ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার ঐচ্ছিক প্র্যাক্টিসের মধ্যমণি ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলই (Glenn Maxwell)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ম্যাচের আগে হাতে এখনও দিন তিনেক সময়। তাই ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসেননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যাডাম জ়াম্পা, জশ হ্যাজলউডরা। অর্ধেক অজ়ি দলের প্র্যাক্টিসেও সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে রইলেন ম্যাক্সওয়েলই। দেখে কে বলবে যে, এদিন ইডেনে একই সঙ্গে প্র্যাক্টিস করলেন স্টিভ স্মিথও? যাঁকে এক সময় বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের অন্যতম মনে করা হতো। নিরন্তর তুলনা হতো বিরাট কোহলির সঙ্গে!
আইপিএল খেলার সুবাদে ম্যাক্সওয়েল ইডেনের বাইশ গজ নিয়ে ওয়াকিবহাল। তবে চলতি বিশ্বকাপে যে ইডেনে পরে ব্য়াটিং করা দল সমস্যায় পড়ছে, দাপট দেখাচ্ছেন স্পিনাররা, সেই তথ্যও নিশ্চয়ই অজানা নয় অজ়ি অলরাউন্ডারের। আর এই মাঠে যে স্যুইপ ও রিভার্স স্যুইপ ব্যাটারদের ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে, সেই আপ্তবাক্য ম্যাক্সওয়েলের নোটবুকে আগেই উঠে গিয়েছে। দুই শটেই সিদ্ধহস্ত ম্যাক্সওয়েল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ-তাবারেজ় শামসি সমৃদ্ধ স্পিন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে যে, সতীর্থদেরও এই শট প্রয়োগ করতে হবে, ভালই জানেন ম্যাক্সওয়েল। আর সেই কারণে তিনি সোমবার পড়লেন সতীর্থদের নিয়েও।
ইডেনের এল ব্লকের সামনে নেটের ধারে দাঁড়িয়ে মার্নাস লাবুশেন, ক্যামেরন গ্রিনদের স্যুইপ ও রিভার্স স্যুইপ আরও নিখুঁতভাবে মারা শেখাচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ক্লাস করে নেটে গিয়ে একের পর এক স্যুইপ, রিভার্স স্যুইপ মারলেন লাবুশেনরাও। স্কুপও মারতে দেখা গেল অজ়ি ব্যাটারদের। আর নেটের ধারে দাঁড়িয়ে তা দেখলেন ম্যাক্সওয়েল।
নিজে যখন নেটে ব্যাট করতে নামলেন, বড় শটের ঝড় উঠল। কয়েকটা বল তো গ্যালারিতে গিয়ে আছড়ে পড়ল। ঘণ্টাখানেক আগেই প্র্যাক্টিস সেরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তেম্বা বাভুমা, লুনগি এনগিডিরা। নেটেও ম্যাক্সওয়েলের ঝড় চাক্ষুষ করা হয়নি প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের।
দেখলে সোমবার রাতে যে সহজে ঘুম আসত না বাভুমাদের, সেটা বলে দেওয়ার জন্য গণৎকার হওয়ার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং অর্ডারের চারে অপরিহার্য শ্রেয়স, বাইশ গজে শাসন দেখে বলছেন কেকেআর কোচ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial