প্যারিস: একজন ভারতীয় ইতিমধ্যেই বাড়তি ওজনের জন্য নিজের অলিম্পিক্স পদক হাতছাড়া করেছেন। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন, জিম সেশন থেকে সারা রাত জেগে কাটানো, কী না করলেন আমন শেরাওয়াত (Aman Sehrawat)। তার ফলও পেলেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) জিতে নিলেন ভারতের ষষ্ঠ পদক। শুধু তাই নয়, কনিষ্ঠতম ভারতীয় পদকজয়ী হিসাবে ইতিহাসও গড়লেন।


বৃহস্পতিবার নিজের সেমিফাইনাল ম্যাচে পরাজয়ের পর শুক্রবার ব্রোঞ্জ পদকজয়ের ম্যাচে ম্যাটে নেমেছিলেন আমন। পোয়ের্তো রিকোর ডারিয়ান ক্রুজ়কে ১৩-৫ হারিয়ে জেতেন পদকও। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে চলে গোটা রাত কসরত। বিনেশ ফোগতের মতো আমন শেরাওয়াত যেন বাড়তি ওজনের জন্য বাতিল না হন, সেই বিষয়ে তৎপর ছিলেন ভারতের দুই কোচ জগমন্দর সিংহ ও বীরেন্দ্র দাহিয়া। প্রতি ঘণ্টায় চলে আমনের ওজন পরীক্ষা।


বীরেন্দ্র দাহিয়া জানান, 'আমি প্রতি ঘণ্টায় ওর ওজন পরিমাপ করছিলাম। আমরা গোটা রাত, এমনকী গোটা দিনও ঘুমায়নি। ওজন কমানোটা আমাদের নিয়মিত প্রক্রিয়ার মধ্যেই পরে। তবে আগেরদিন যা হয়েছিল, তার জন্য এই গোটা বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলাম আমরা। আরও একটি পদক হাতছাড়া হতে দিতে পারি না আমরা।' আমন জানান একসময় তাঁর শরীর কার্যত ছেড়ে দিলেও, তিনি হাল ছাড়েননি। গোটা রাত জুড়ে তিনি কুস্তির পুরনো ম্যাচ দেখেই নিজের সময় কাটান। কেমন ছিল আমনের ওজন হ্রাস করার প্রক্রিয়াটি?


রেই হিগুইচির বিরুদ্ধে সন্ধে ৬.৩০টা নাগাদ আমনের সেমিফাইনাল ম্যাচ শেষ হয়। তাঁর ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় পর পরই শুরু হয়ে যায় তাঁর অনুশীলন। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে সেই অনুশীলন। এরপর এক ঘণ্টার সাওনা নেন আমন। রাত ১২.৩০টার দিকে এক ঘণ্টার জিম সেশন করেন তিনি। ৩০ মিনিটের বিশ্রাম। তারপর পাঁচ বার পাঁচ মিনিট করে সওনা নেন আমন। তবে তাতেও আণনের ওজন ৯০০ গ্রাম মতো বেশি ছিল। সেই কারণে তিনি জগিং করেন ও দৌড়ন। রিপোর্ট অনুযায়ী ভোর ৪.৩০টার দিকে আমনের ওজন নির্ধারিত ৫৭ কেজির নীচে নামে। এর মাঝে আমন শুধু সামান্য কফি এবং লেবু, মধু মিশ্রিত বিশেষ ধরনের গরম জল খান। পরিণামে মাত্র ১০ ঘণ্টায় আমন ৪.৬ কেজি ওজন ঝরাতে সক্ষম হন বলে খবর।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: প্রথম অলিম্পিক্সেেই ইতিহাস, ব্রোঞ্জজয়ী আমনকে শুভেচ্ছায় ভাসালেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি