টোকিও: ২০০২-এ জাপানের ইয়োকোহামায় পঞ্চমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল রোনাল্ডো, রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহোর ব্রাজিল। ১৯ বছর পর সেই ইয়োকোহামাতেই অলিম্পিক্স ফুটবলে সোনা জিতলেন দানি আলভেজ, রিচার্লিসনরা। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন নেইমাররা। পরপর দু’বার সোনা পেল ব্রাজিল।
আজ ফাইনালে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। প্রথমার্ধের শেষমুহূর্তে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ম্যাথিয়াস কুনহা। ৬১ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান মিকেল অয়ারজাবাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে ব্রাজিলকে জয় এনে দেন ম্যালকম।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্স পর্যন্ত পুরুষদের ফুটবলে একবারও সোনা জিততে পারেনি ব্রাজিল। রিওতেই প্রথম সাফল্য আসে। তারপর টোকিওতেও সোনা জিতল ব্রাজিল। স্বাভাবিক কারণেই আজ ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন দানি আলভেজ, রিচার্লিসনরা। তাঁরা জাতীয় পতাকা নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
আজ অলিম্পিক্স ফাইনালের আগে ব্রাজিল ও স্পেনের অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল এর আগে কোনওদিন সরকারিভাবে কোনও প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়নি। এই প্রথম দু’দলের লড়াই হল। সিনিয়র পর্যায়ে ব্রাজিল ও স্পেন এখনও পর্যন্ত ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাজিল। স্পেন জিতেছে মাত্র দু’টি ম্যাচে এবং বাকি দু’টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ফলে অলিম্পিক্স ফাইনালে যেমন ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াই ছিল, তেমনই আবার স্পেনের তরুণ ফুটবলারদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। এই লড়াইয়ে জয় পেল ব্রাজিলই।
এবারের অলিম্পিক্সে ফাইনালে ওঠার পথে চারটি ম্যাচ জেতে ব্রাজিল। ড্র হয় একটি ম্যাচ। অন্যদিকে, স্পেন তিনটি ম্যাচ জেতে এবং দু’টি ম্যাচ ড্র করে। ফলে ফর্মের বিচারে কিছুটা হলেও এগিয়েছিল ব্রাজিল। আক্রমণে ভেদশক্তির অভাব স্পেনের সমস্যা ছিল। বেশিরভাগ সময়ই বিপক্ষের রক্ষণ টপকাতে পারছিলেন না স্পেনের স্ট্রাইকাররা। ফাইনালেও সেটাই দেখা গেল। গোল করার দক্ষতার জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত ব্রাজিল। সেই গোল করার দক্ষতাই ব্রাজিলকে অলিম্পিক্স ফুটবলে সোনা এনে দিল।