টোকিও: অক্টোবরের ২ তারিখ জন্ম। মোহনদাস করমচাঁদ গাঁধীর জন্মদিনের দিনই। সেই গাঁধীজি, যিনি আজীবন অহিংসার কথা বলে গিয়েছেন। অথচ লভলিনা বড়গোহাঁই বিখ্যাত তাঁর ঘুষির জন্য। টোকিও অলিম্পিক্সে যে ঘুষির জোর দেখেছে গোটা বিশ্ব।


আর গাঁধীজয়ন্তীতে জন্ম হওয়া কেউ তাঁর ঘুষির জন্য বিখ্যাত, এটা ভেবে বেশ মজা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন লভলিনা। যে সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। দরাজ গলায় তাঁর প্রশংসা করেছেন মোদি। বলেছেন, 'এটা আসলে নারীশক্তির জয়।'


সূত্রের খবর, লভলিনাকে ফোন করেছিলেন প্রধান.মন্ত্রী। কৃতী বক্সারকে অভিনন্দন জানান তিনি। পাশাপাশি মজা করে বলেছেন, 'আপনার জন্ম ২ অক্টোবর, গাঁধীজয়ন্তীতে। গাঁধীজি আজীবন অহিংসার কথা বলেছেন। আর আপনি ঘুষির জন্য বিখ্যাত।'




টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লভলিনা বড়গোহাঁইকে। বুধবার তিনি হেরে গেলেন তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে। ৬৪-৬৯ কেজি মহিলাদের ওয়েল্টারওয়েট বিভাগে বিশ্বের ১ নম্বর বুসেনাজ সুরমেনলির বিরুদ্ধে হার মানতে হল লভলিনাকে। ৫-০ ব্য়বধানে এদিন হার মানতে হয় লভলিনাকে। বেশ কয়েকবার ভাল পাঞ্চ করলেও অভিজ্ঞতাতেই এদিন মূলত বাজিমাত করেন তুরস্কের বক্সার। দ্বিতীয় রাউন্ডে একটা সময় তুরস্কের বক্সারের থেকেও ভাল পারফর্ম চোখে পড়ছিল লভলিনার। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে জয় হাসিল করে নেন বুসেনাজ সুরমেনলি।


তুরস্কের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এদিন সেমিফাইনালে হারতে হয় ভারতের মহিলা বক্সারকে। আগেই অলিম্পিক্সে ভারতের দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত করেছিলেন বক্সার লভলিনা বড়গোহাঁই। চিনা তাইপেইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলেন ৪-১ ফলে।


কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে লভলিনা বড়গোহাঁই চিনা তাইপেইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়েন চিন চেনকে ৬৯-৭৫ কেজি ক্যাটাগরিতে ৪-১ ব্যবধানে হারান। এর সঙ্গে সঙ্গে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন তিনি। উঠে যান সেমিফাইনালে। সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ফেলেন ইতিহাস। অসমের প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেই পদক নিশ্চিত করেছিলেন।