নয়াদিল্লি: গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন তাঁর সরকার ভারতের মাটিতে অলিম্পিক্স আয়োজন করতে আগ্রহী। সেই লক্ষ্যে একধাপ এগোল ভারত।
রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের তরফে অলিম্পিক্সের ফিউচার হোস্ট কমিশনকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে দেশের মাটিতে ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিক্স আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির (International Olympic Committee) সঙ্গে বেসরকারিভাবে না না কথাবার্তা চলছিল। তবে এবার ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Olympic Association) তরফে এই স্বপ্নকে সত্যি করার বিষয়ে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হল। খবর অনুযায়ী আইওএ ১ অক্টোবরই নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
গোটা বিষয়ে অবগত এক সূত্র জানান, 'এই বিরাট সুযোগ কিন্তু ভীষণই লাভদায়ক হতে পারে। অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক অগ্রগতি তো বটেই, তরুণ প্রজন্মের উন্নতির দিকেও এটা একটা ভাল পদক্ষেপ বটে।' ২০৩৬ সালের আয়োজক দেশ নির্ধারণ করার জন্য এখনও খানিকটা সময় রয়েছে। পরের বছর অলিম্পিক্স কমিটির নির্বাচনের পরেই সেই ঘোষণা করা হবে। সৌদি আরব, কাতার, তুরস্কের মতো দেশগুলিও এই অলিম্পিক্স আয়োজনের বিষয়ে আগ্রহী এবং এই দেশগুলির থেকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে ভারত। তবে নিজেদের স্বপ্ন সফল করার পথে আইওএ অন্তত খানিকটা এগিয়েছে বলেই মনে করছেন সকলে। তবে দায়িত্ব পেতে হলে এরপরেও বেশ কয়েকটি ধাপ পেরতে হবে।
ভারতের অলিম্পিক্স আয়োজনের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন অলিম্পিক্স কমিটির প্রধান থমাস বাক। ভারত ২০১০ সালে শেষবার বড় ধরনের কোনও টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল। সেবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে বসেছিল কমনওয়েলথ গেমসের আসর। তবে ২০৩৬ সালের জন্য নয়াদিল্লি নয়, বরং আমদাবাদকে আয়োজক শহর হিসাবে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ভারত অলিম্পিক্স আয়োজনের দায়িত্ব পেলে খো খো, যোগাসন, কাবাড্ডির মতো খেলাগুলিকে অলিম্পিক্সের আয়োজনের বিষয়ে জোর দেবে।
এবার দেখার শেষমেশ ভারতে অলিম্পিক্সের আসর আদৌ বসে কি না। এখনও যে বেশ কয়েকটি ধাপ বাকি রয়েছে, তা কিন্তু বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: মোহবাগানের হয়েই মাঠে নামেন ভারতের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কে জানেন? খোলসা করলেন পেত্রাতোস