ইম্ফল: দু'বছর পর বাড়ির খাবার আস্বাদনের সুযোগ পেলেন মীরাবাঈ চানু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে নিজেই জানালেন অলিম্পিক্স থেকে রুপো জিতে আসা ভারোত্তোলক।


অলিম্পিক্সে পদক জয়ের পর টোকিও থেকে সদস্য মণিপুরে নিজের গ্রামে ফিরেছেন চানু। প্রস্তুতির জন্য যাঁর বাড়িতে আসাই হতো না। তবে এখন লক্ষ্য়পূরণের পর কিছুটা স্বস্তির মেজাজে। চানু বৃহস্পতিবার ছবি পোস্ট করে জানালেন যে, দু'বছর পর বাড়ির খাবার খাচ্ছেন। ক্যাপশনে লিখলেন, 'দু'বছর পর বাড়ির খাবার খেলে মুখে এরকমই হাসি দেখা যায়।'



অলিম্পিক্সে কীর্তি গড়ে দেশে ফিরেছেন সোমবার। ভারোত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রুপোর পদক জিতেছেন। মঙ্গলবার সেই মীরাবাঈ চানু নিজের রাজ্য মণিপুরে ফিরেছেন। মাকে দেখে কান্নায় ভঙে পড়েন তিনি। মা সাইখম ওঙ্গবি টোম্বি লেইমাকে দেখেই মঙ্গলবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন চানু। মাকে জড়িয়ে ধরেন। তারপরই কাঁদতে শুরু করেন দুজনই। স্ত্রী ও মেয়ের আনন্দাশ্রু তখন পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন চানুর বাবা সাইখম কৃতি মেইতেই।


পাঁচ বছর আগের ঘটনা। রিও অলিম্পিক্সের ঠিক আগে। নিজের গয়না বিক্রি করে চানুর জন্য একজোড়া কানের দুল বানিয়ে দিয়েছিলেন সাইখম ওঙ্গবি টোম্বি লেইমা। দুলজোড়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তার গড়ন অলিম্পিক্স রিংয়ের মতো। সেই দুল পরে রিও অলিম্পিক্সে পারেননি। তবে টোকিও থেকে পদক জিতে ফিরেছেন চানু। ইম্ফল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চানুর গ্রাম নঙ্গপক কাকচিংয়ে উৎসবের আবহ। 


টোকিওয় চলতি অলিম্পিক্সে ভারত্তোলনে রুপো জেতার পর সোমবার দেশে ফেরেন মীরাবাঈ চানু। তিনি অভিনন্দনের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছেন। মণিপুর সরকার তাঁকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিযুক্ত করেছে।


দেশে ফেরার পর চানু বলেছেন, ‘এবারের অলিম্পিক্স বেশ কঠিন ছিল। আমরা ২০১৬ থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। রিও অলিম্পিক্সের পর প্রস্তুতির ধরন বদলে ফেলি। আমরা (চানু ও তাঁর কোচ) টোকিও অলিম্পিক্সের জন্য পাঁচ বছর দিয়েছি। এত ভালবাসা ও সমর্থনের মধ্যে দেশে ফিরে ভাল লাগছে। সবাইকে ধন্যবাদ।’