নয়াদিল্লি: সোনা হাতছাড়া হয়েছে। তবে প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) জ্যাভলিন থ্রোয়ে রুপো জিতেছেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। গড়েছেন নজির। প্যারিসে রুপো জেতার পরই ভারতের চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলিটকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কী কথোপকথন হল দুজনের মধ্যে? রইল বিস্তারিত...
নীরজ চোপড়া: হ্যালো, নমস্তে স্যর।
প্রধানমন্ত্রী: নীরজ, অনেক অনেক অনেক অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
নীরজ: ধন্যবাদ স্যর।
প্রধানমন্ত্রী: গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। আমি দেখছিলাম, রাত ১টার সময়ও কোটি কোটি মানুষ আপনার দিকে আশা নিয়ে তাকিয়েছিলেন।
নীরজ: স্যর, সবাই যেটা আশা করেছিলেন, সোনা জিততে পারলাম না। সর্বস্ব দিয়েছিলাম। আগেই আপনাকে জানিয়েছিলাম, চোটের জন্য যে জোরটা দেওয়া উচিত ছিল সেটা দিতে পারিনি। সেটাই...
প্রধানমন্ত্রী: নীরজ আপনার চোটের জন্য কী করা উচিত বলুন ভাই
নীরজ: দলের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নেব স্যর। তবে প্রতিযোগিতা খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল। চোট নিয়েও থ্রো করে দেশের জন্য পদক আনতে পেরে আমি খুশি।
প্রধানমন্ত্রী: না, না আপনি দারুণ করেছেন। আগের বারও সোনা জিতেছিলেন। আমার মনে আছে আগেরবারও আপনার প্রতিপক্ষের খেলার প্রশংসা করেছিলেন। আপনি বলেছিলেন কড়া টক্কর হয়। চোট নিয়েও যেভাবে খেলেছেন, তা বেশ আশ্চর্যজনক।
নীরজ: খুব ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। খেলাধুলোয় ওঠাপড়া আছে। আরও পরিশ্রম করব। সামনে আরও প্রতিযোগিতা হয়েছে। লড়াই করব।
প্রধানমন্ত্রী: আপনার মা কি খেলাধুলো করতেন?
নীরজ: না, আমার পরিবারের কেউই খেলাধুলো করেননি। তবে হরিয়ানায় খেলাধুলোর চল রয়েছে। হয়তো ছোটবেলা খেলাধুলো করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী: আপনার মায়ের সাক্ষাৎকার দেখছিলাম। তিনি পাকিস্তানের অ্যাথলিটকে নিয়ে বলেছেন, ও-ও তো আমার ছেলে। খেলাধুলোর পরিবার থেকেই এই মানসিকতা আসে। এই স্পিরিট, আপনার পরিবারকেও অভিনন্দন।
নীরজ: খেলাধুলোয় এটা হয় স্যর। আমার দিন থাকলে সোনা জিততাম। যার দিন হয়, সেদিন সেই জেতে।
প্রধানমন্ত্রী: না, তা ছাড়াও আপনাদের পরিশ্রম করতে হয়। আপনি খুব পরিশ্রম করেছেন। যেভা্বে চোট সামলে খেলেছেন, অনবদ্য। দেশের জন্য কিছু করতে হবে, এটাই তো অনুপ্রেরণা। সোনার চিন্তা দূর করে ফেলুন। আপনিই সোনা।
নীরজ: সে তো বেরিয়ে গিয়েছেই স্যর। যতদিন খেলাধুলো চালাব, পরিশ্রম করে যাব।
প্রধানমন্ত্রী: আরও নতুন নতুন উচ্চতা জয় করুন। খুব কম লোকেরই দুটি অলিম্পিক্সে পদক জেতার নজির রয়েছে। আপনি সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছেন। অনেক অভিনন্দন। আপনার বাবা-মাকে প্রণাম।
নীরজ: অনেক ধন্যবাদ স্যর।
প্রধানমন্ত্রী: পরেরবার দেখা হলে আপনার চোট নিয়ে একটু বিস্তারিত বলবেন। আমাকে জানাবেন, আমাদের তরফ থেকে কী করা যেতে পারে।
নীরজ: নিশ্চয়ই স্যর। অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী: অনেক শুভেচ্ছা রইল।
নীরজ: নমস্কার স্যর, নিজের খেয়াল রাখবেন।
আরও পড়ুন: চেয়েচিন্তে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের খরচ উঠত, খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতেন নাদিম