প্যারিস: প্রতিপক্ষ ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর পালোয়ান। কিরঘিজস্তানের এপেরি মেদেত কিজি (Aiperi Medet Kyzy)। তাঁর কালঘাম ছুটিয়ে দিলেন ভারতের অনূর্ধ্ব ২৩ কুস্তিগীর রীতিকা হুডা (Reetika Hooda)। কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ হল ১-১ পয়েন্টে। তবু শেষ পর্যন্ত পরাজিত ঘোষণা করা হল রীতিকাকেই। কোয়ার্টার ফাইনালে জিতলেন মেদেত কিজি।


কিন্তু কেন পয়েন্ট সমান হলেও পরাজিত ঘোষণা করা হল রীতিকাকে? কারণ ব্যাখ্যা করে দিলেন সাক্ষী মালিক। অলিম্পিক্স পদকজয়ী সাক্ষী প্যারিস অলিম্পিক্সে কুস্তির ধারাভাষ্য দিচ্ছেন সম্প্রচারকারী চ্যানেলে। সাক্ষী বললেন, 'পয়েন্ট সমান হলেও যেহেতু ম্যাচে পরে পয়েন্ট পেয়েছেন কিরঘিজস্তানের এপেরি মেদেত কিজি, সেই কারণে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হল।'


গত বছর অনূর্ধ্ব ২৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন ভারতের কুস্তিগীর রীতিকা। বড় মঞ্চেও তিনি যে জ্বলে উঠতে পারেন, সেই সম্ভাবনা আগেই তৈরি করেছিলেন। শনিবার প্রথম ম্যাচেও শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে মহিলাদের ৭৬ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগের শেষ আটে পৌঁছেছিলেন রীতিকা।


ভারতের অনূর্ধ্ব ২৩ কুস্তিগীর রীতিকা শনিবার প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন হাঙ্গেরির বার্নাদেত নাগির (Bernadett Nagy)। যিনি অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন অষ্টম বাছাই হিসাবে। চলতি বছরে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন নাগি। রীতিকার বিরুদ্ধে খাতায় কলমে এগিয়ে ছিলেন হাঙ্গেরির পালোয়ান। ১২-২ পয়েন্টে টেকনিক্যাল সুপিরিওরিটি দেখিয়ে তাঁকে হারান রীতিকা। পৌঁছে যান কোয়ার্টার ফাইনালে।


শেষ আটের ম্যাচে রীতিকার সামনে ছিলেন কিরঘিজস্তানের এপেরি মেদেত কিজি। যিনি অলিম্পিক্সে শীর্ষ বাছাই। তাঁর বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য লড়াই করলেন রীতিকা। একটা সময় এগিয়েও গিয়েছিলেন। প্যাসিভ ওয়ার্নিং থেকে ১ পয়েন্ট পান। ৩০ সেকেন্ডে কিরঘিজস্তানের কুস্তিগীরকে কোনও পয়েন্ট অর্জন করতে দেননি রীতিকা। তবে দ্বিতীয় প্যাসিভ ওয়ার্নিং থেকে পয়েন্ট পান মেদেত কিজি। ১-১ করে দেন ম্যাচ। গোটা ম্যাচে আর কোনও পয়েন্ট হয়নি। কুস্তির নিয়ম মেনে পরে পয়েন্ট স্কোর করায় সেমিফাইনালে গেলেন মেদেত কিজি।


রীতিকার পদক জয়ের পথ এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি। যদি কিরঘিজস্তানের এপেরি মেদেত কিজি ফাইনালে পৌঁছে যান, তাহলে রেপেশাঁ খেলে ব্রোঞ্জ জয়ের সুযোগ পাবেন রীতিকা। গোটা দেশ এখন সেই প্রার্থনাই করছে।