প্যারিস: বিনেশ ফোগতের (Vinesh Phogat) আবেদন কি মেনে নেবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOA)? রুপো পাবেন ভারতের মহিলা পালোয়ান?


প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) মহিলাদের কুস্তির ৫০ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ভারতের মহিলা কুস্তিগীর বিনেশ ফোগত। পরপর ৩ ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিনেশ। ফাইনালে ওঠায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, অন্তত রুপো পাবেনই বিনেশ। সোনা জয়ের সুযোগও থাকবে।


কিন্তু ফাইনালের দিন সকালে ওজন পরিমাপের সময় বিপত্তি। দেখা যায়, নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ১০০-১৫০ গ্রাম ওজন বেশি রয়েছে বিনেশের। যে কারণে বাতিল করা হয় বিনেশকে। ফাইনালে তো নামতে পারেনইনি, কোনও পদক না পেয়েই অলিম্পিক্স সফর শেষ হয় বিনেশের। হতাশায় কুস্তি থেকে অবসর ঘোষণাও করেন তিনি।


তবে খেলাধুলোর আন্তর্জাতিক আদালত - কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা CAS-এ আবেদন জানান বিনেশ। দাবি ছিল দুটি। এক, তাঁকে ফাইনালে নামতে দেওয়া হোক। বলা হয়েছিল, তিনি স্বচ্ছভাবে খেলেই ফাইনালে উঠেছেন এবং ফাইনালের আগের দিন পর্যন্ত নির্ধারিত ওজনের মধ্যেই ছিলেন। দুই, যেহেতু তিনি কোনও অসদুপায় অবলম্বন করেননি, তাই তাঁকে যুগ্মভাবে রুপো দেওয়া হোক। গুজ়মান লোপেজের সঙ্গে। যাঁকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগীর। বিনেশের প্রথম দাবি আগেই নাকচ করে দিয়েছিল ক্যাস। তবে দ্বিতীয় দাবির শুনানি হয়েছে। যেখানে ক্যাসে বিনেশের হয়ে চার ফরাসি আইনজীবীর পাশাপাশি সওয়াল-জবাব করেন বিখ্যাত আইনজীবী হরিশ সালভেও।


কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাস? এখনও পর্যন্ত রায়দান হয়নি। তবে শুনানি চলেছে ৩ ঘণ্টা। বলা হয়েছে, সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আগে এ নিয়ে রায় ঘোষণা করা হবে। শনিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় হতে পারে রায়দান।




যদিও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার প্রধান টমাস বাখ জানিয়েছেন, দুটি রুপোর পদক দেওয়া সম্ভব নয়। তবে দুই প্রতিযোগীর মধ্যে পদক ভাগ করে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। ভারত ও বিনেশের পদক সম্ভাবনা এখন পুরোটাই নির্ভর করছে ক্যাসের আরবিট্রেটর, অস্ট্রেলিয়ার ডক্টর অ্যানাবেল বেনেটের সিদ্ধান্তের ওপর। শুক্রবার ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাঁরা বিনেশের পদক প্রাপ্তির ব্যাপারে আশাবাদী। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'আরবিট্রেটর ইঙ্গিত দিয়েছেন দ্রুতই রায়দান করা হবে। পরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।'


আরও পড়ুন: চেয়েচিন্তে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের খরচ উঠত, খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতেন নাদিম