নয়াদিল্লি: টোকিও অলিম্পিক্স থেকে পদক জিতলেই রয়েছে আর্থিক পুরস্কার। দিল্লি সরকার এমনই ঘোষণা করল শুক্রবার। এমনকী শুধুমাত্র প্রতিযোগীদের নয়। যারা যারা পদক জিতবেন, তাঁদের কোচের জন্যও রয়েছে আর্থিক পুরস্কার।


দিল্ল সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, রাজ্যের যে যে ক্রীড়াবিদ টোকিওতে অংশ নিতে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে সোনাজয়ী অ্যাথলিটদের জন্য ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া যেই প্রতিযোগী রূপো জিতবেন, তাঁর জন্য ২কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ও কেউ ব্রোঞ্জ জিতলে তাঁর জন্য ১ কোটি টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে।  


পদকজয়ী অ্যাথলিটদের কোচের জন্যও রয়েছে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পদকজয়ীদের কোচকে ১০ লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। দিল্লি থেকে এবার টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলেছেন একাধিক ক্রীড়াবিদ।


দিল্লির থেকে মোট ৪ জন অ্যাথিলটকে টোকিও অলিম্পিক্সে খেলতে দেখা যাবে। শুটিংয়ে দিল্লির দীপক কুমারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এবার ভারত। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শুটিংয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন দীপক কুমার। টোকিও অলিম্পিক্সে টেবিল টেনিসে দেখা যাবে মণিকা বাত্রাকে।


অ্যাথলেটিক্সে ২ জন রয়েছেন দিল্লি থেকে। একজন হলেন আমোজ জ্যাকব, দ্বিতীয় জন হলেন সার্থক ভাম্বরি। পদক জয়ের ব্যাপারে দুজনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দিল্লি ক্রীড়ামহল। তবে মণিকাই এই ৪ জনের মধ্যে পদক জয়ের অন্যতম দাবিদার। মণিকা তাঁর টেবিল টেনিসে সাফল্যের জন্য ভারত সরকারের তরফে খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। টিটিতে তাঁর দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।


দিল্লির ডেপুটি চিফ মিনিস্টার মণীশ সিসোদিয়া একটি বৈঠক ডেকেছিলেন শুক্রবার। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি স্পোর্টস অথরিটির ভাইস চ্যান্সেলর কর্ণম মালেশ্বরী। যিনি নিজে ২০০০ সালের সামার অলিম্পিক্সে ভারোত্তলনে ৬৯ কেজি বিভাগে পদক জিতেছিলেন। ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে পদক জিতেছিলেন মালেশ্বরী।