টোকিও: করোনা আবহেই অনুষ্ঠিত হতে চললেও, এবার টোকিও অলিম্পিক্স চলাকালীন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও দর্শক। আজ এমনই জানিয়েছেন জাপানের অলিম্পিক্স বিষয়ক মন্ত্রী।


২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবারের অলিম্পিক্স, চলবে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত। তার আগে এদিনই টোকিও পৌঁছে গিয়েছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ। অলিম্পিক্সের আগে বা গেমস চলাকালীন যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে জরুরি অবস্থা জারি করতে চলেছে জাপান সরকার। অলিম্পিক্স চলাকালীন জারি থাকবে এই জরুরি অবস্থা। জাপানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার থেকে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা, জারি থাকবে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত।


এদিন টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে নামার পর সাংবাদিকদের এড়িয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গেমস হেড কোয়ার্টার্সে চলে যান বাখ। তিনি সেখানে তিনদিন সেলফ আইসোলেশনে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।


জাপানের সাধারণ মানুষের একাংশ এবং চিকিৎসকরা করোনা পরিস্থিতিতে এবারের অলিম্পিক্স আয়োজন না করার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং স্থানীয় আয়োজকরা গেমস আয়োজনের সিদ্ধান্তে অনড়। অলিম্পিক্সের আগে যাতে টোকিওর সব রেস্তোরাঁ, পানশালা ও ক্যারাওকে পার্লার বন্ধ রাখা যায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার। অলিম্পিক্স চলাকালীন ক্রীড়াপ্রেমীরা যাতে উৎসবে মেতে উঠতে না পারেন এবং পানশালায় ভিড় জমাতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে জাপান সরকার। সেই কারণেই জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


জাপানে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। টানা তিন সপ্তাহ ধরে রোজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনও জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে রবিবার। পরের দিন থেকেই নতুন করে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা।


করোনা আবহে শুধু স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়াই নয়, টোকিওয় মশাল দৌড়ও হচ্ছে না। টোকিও উপকূলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে হবে মশাল দৌড়।