প্যারিস: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ মহিলা দল পোডিয়াম ফিনিশ করতে পারেনি। তবে পুরুষ দল পারল। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনার ৩২ বছর পরে আবারও অলিম্পিক্স সেরা স্পেন (Spain Football Team)। পার্ক দে প্রিন্সেসে ফ্রান্সকে (France Football Team) ৫-৩ স্কোরলাইনে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) চ্য়াম্পিয়ন হল লা রোহা। অলিম্পিক্সের ইতিহাসে কোনও ফাইনালে এর আগে আর এত গোল হয়নি। এক্সট্রা টাইমে ম্য়াচ জিতে নেয় এরিক গার্সিয়া, আবেল রুইজ়রা।


অ্যালেক্স বায়েনা, ফের্মিন লোপেজ়রা তো ইউরোজয়ী স্পেন দলের অংশ ছিলেন। এই দুই তারকা অলিম্পিক্সের ফাইনালে সম্মিলিতভাে করলেন তিন গোল, দিলেন একটি অ্যাসিস্ট। ম্যাচের প্রথমার্ধে এনজ়ো মিলঁ ফ্রান্সকে ম্যাচে এগিয়ে দেন। তবে দুরন্ত স্প্যানিশ দল প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে তিন তিনবার আয়োজক দেশের জালে বল জড়ান। দুইটি গোল করেন লোপেজ় এবং দৃষ্টিনন্দন এক ফ্রি কিক থেকে বায়েন স্কোর ৩-১ করে ফেলেন। তবে আক্রমণে দুরন্ত হলেও, এই স্প্যানিশ দলের রক্ষণে খানিক দুর্বলতা রয়েছে এবং সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই ম্যাচের অনবদ্য কামব্যাক করে ফ্রান্স।


আকলিউচে এবং জিন ফিলিপ মাটেটা গোল করেন। মাটেটা ৯১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের হয়ে সমতা ফেরান। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের দুই অর্ধে সার্জিও কামেলো জোড়া গোল করে স্পেনকে ৫-৩ জয় এনে দেন। স্প্যানিশ দলে ফাঁক ফোকর থাকলেও থিওর অরিঁর ফ্রান্স দল লড়াই করেও সোনা জিততে পারল না।


এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই স্প্যানিশ দলের সুবর্ণ সময় অব্যাহত রইল। বর্তমানে স্পেনের পুরুষ ও মহিলা উভয় দল নেশনস লিগ চ্যাম্পিয়ন। স্পেনের পুরুষ ও মহিলা, উভয় দল অনূর্ধ্ব ১৯ ইউরো চ্যাম্পিয়ন। স্পেনের পুরুষ সিনিয়র দল ইউরো চ্যাম্পিয়ন এবং মহিলাদের সিনিয়র দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এবার যোগ হল অলিম্পিক্সে সোনা। সব মিলিয়ে ফুটবল জগতে বর্তমানে কিন্তু স্প্যানিশ আর্মাদার দাপটই চলছে। প্রসঙ্গত, মিশরকে হারিয়ে আশরাফ হাকিমির মরক্কো ব্রোঞ্জ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটি তাঁদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক্স সাফল্য। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টায় কমিয়েছেন ৪.৬ কেজি! ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচের আগে না ঘুমিয়েই রাত কাটান আমন?