টোকিও: শাস্তি পেয়ে অভিনব প্রতিবাদ। রিংয়েই বসে পড়লেন বক্সার। এবং সেখানেই বসে রইলেন ঝাড়া এক ঘণ্টা!
হইচই পড়ে গিয়েছে এরকম বেনজির ঘটনায়। রবিবার যা ঘটালেন ফ্রান্সের বক্সার মৌরাদ অ্যালিয়েভ। হেভিওয়েট বক্সিংয়ে রবিবার তাঁর কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষকে গুঁতো মারার অভিযোগ উঠেছে অ্যালিয়েভের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ হতে তখন আর চার সেকেন্ড বাকি। ব্রিটিশ প্রতিপক্ষ ফ্রেজার ক্লার্ককে গুঁতো মারার অপরাধে অ্যালিয়েভকে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল করেন রেফারি। জয়ী ঘোষণা করা হয় ইংরেজ বক্সারকে। ফ্রেজারের দুই চোখের নীচেই ততক্ষণে গভীর ক্ষত।
সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই প্রতিবাদ শুরু করেন ফরাসি বক্সার। রিংয়েই তিনি ধর্নায় বসেন। ফরাসি দলের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। জল পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁর কাছে। পরে দোভাষীর মাধ্যমে অ্যালিয়েভ বলেন, 'সিদ্ধান্তটা যে সঠিক নয় সেটার বিরুদ্ধে এভাবেই প্রতিবাদ করে জানাতে চাইছি। আমি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলাম। আমার সতীর্থরাও অন্যায়ের শিকার হয়েছে। সারা জীবন লড়াই করে এই জায়গায় এসেছি। রেফারির সিদ্ধান্তের জন্য আমি হেরে গেলাম।'
প্রায় আঘ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে বক্সিং কর্তারা অ্যালিয়েভের সঙ্গে কথা বলেন। ফরাসি দলের বাকিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। তারপর সকলেই রিং ছেড়ে চলে যান। কিন্তু মিনিট ১৫ পর ফের রিংয়ে আসেন অ্যালিয়েভ। এবং ফের একই জায়গায় ধর্নায় বসে পড়েন। আরও প্রায় ১৫ মিনিট বসে থাকেন। তারপর তিনি রিং ছাড়েন।
রবিবার অলিম্পিক্সে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেও মন জিতে নিলেন সতীশ কুমার। রক্তাক্ত অবস্থাতেও নাছোড় লড়াই করার জন্য।
হেভিওয়েট বক্সিংয়ের (৯১ কেজি বিভাগ) কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সতীশের রিংয়ে নামা নিয়েই প্রবল সংশয় ছিল। কারণ, শেষ ষোলোর ম্য়াচে ডান চোখের ঠিক ওপরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ভারতীয় বক্সার। উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল শেষ ষোলোর ম্যাচের পরই। সেই ম্যাচ জিতলেও, প্রতিপক্ষের মারে মুখ ফেটেছিল ভারতের হেভিওয়েট বক্সার সতীশ কুমারের। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, সাত-সাতটি সেলাই পড়ে তাঁর ক্ষতস্থানে। তা নিয়েও লড়াই করলেন। তবে শেষরক্ষা হল না।