ইম্ফল: এবার মীরাবাঈ চানুর জীবন ফুটে উঠবে বড় পর্দায়।


মেরি কম, সাইনা নেহওয়ালের পর এবার চানুর বায়োপিক তৈরি হবে। ২১ বছরের খরা কাটিয়ে ভারোত্তোলনে দেশকে অলিম্পিক্স পদক এনে দিয়েছেন মীরাবাঈ সাইখম চানু। তাঁর হাত ধরেই চলতি টোকিও অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে এসেছে প্রথম পদক। মণিপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে কীভাবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন, কীভাবে দারিদ্রকে হারিয়ে লক্ষ্যে অবিচল থাকলেন, চানুর জীবনের এসব কাহিনিই এবার ভেসে উঠবে রুপোলি পর্দায়।


মণিপুরী ছবিতে অলিম্পিক্স পদকজয়ীর জীবনী ফুটে উঠবে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে ইম্ফলের সেউতি ফিল্মস প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও নাকি হয়ে গিয়েছে চানুর। উচ্ছ্বসিত ভারোত্তোলক ছবি সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে সইও করে দিয়েছেন বলে খবর।


অলিম্পিক্সে পদক জয়ের পর টোকিও থেকে সদস্য মণিপুরে নিজের গ্রামে ফিরেছেন চানু। প্রস্তুতির জন্য যাঁর বাড়িতে আসাই হতো না। তবে এখন লক্ষ্য়পূরণের পর কিছুটা স্বস্তির মেজাজে। চানু বৃহস্পতিবার ছবি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন যে, দু'বছর পর বাড়ির খাবার খাচ্ছেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, 'দু'বছর পর বাড়ির খাবার খেলে মুখে এরকমই হাসি দেখা যায়।'


অলিম্পিক্সে কীর্তি গড়ে দেশে ফিরেছেন সোমবার। ভারোত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রুপোর পদক জিতেছেন। মঙ্গলবার সেই মীরাবাঈ চানু নিজের রাজ্য মণিপুরে ফিরেছেন। মাকে দেখে কান্নায় ভঙে পড়েন তিনি। মা সাইখম ওঙ্গবি টোম্বি লেইমাকে দেখেই মঙ্গলবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন চানু। মাকে জড়িয়ে ধরেন। তারপরই কাঁদতে শুরু করেন দুজনই। স্ত্রী ও মেয়ের আনন্দাশ্রু তখন পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন চানুর বাবা সাইখম কৃতি মেইতেই।


পাঁচ বছর আগের ঘটনা। রিও অলিম্পিক্সের ঠিক আগে। নিজের গয়না বিক্রি করে চানুর জন্য একজোড়া কানের দুল বানিয়ে দিয়েছিলেন সাইখম ওঙ্গবি টোম্বি লেইমা। দুলজোড়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তার গড়ন অলিম্পিক্স রিংয়ের মতো। সেই দুল পরে রিও অলিম্পিক্সে পারেননি। তবে টোকিও থেকে পদক জিতে ফিরেছেন চানু। ইম্ফল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চানুর গ্রাম নঙ্গপক কাকচিংয়ে উৎসবের আবহ।