টোকিও: মীরাবাঈ চানু, পি ভি সিন্ধু ও লভলিনা বড়গোহাঁইয়ের পর টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের আরও একটি পদক নিশ্চিত করলেন রবি কুমার দাহিয়া। টোকিও অলিম্পিক্সে কুস্তির সেমিফাইনালে জিতলেন ভারতের রবি কুমার। কুস্তির ৫৭ কেজি বিভাগে কাজাখস্তানের পালোয়ান নুরিস্লাম সানায়েভের বিরুদ্ধে জিতলেন তিনি।


শুরুতে রবি ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ম্যাচে ফিরে এসেছিলেন কাজাখস্তানের প্রতিপক্ষ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে একটা সময় রবি কুমার পিছিয়ে ছিলেন ৭-৯ পয়েন্টের ব্যবধানে। কিন্তু সেই সময় দুরন্ত মুভে নুরিস্লামকে ম্যাট্রেসের ওপর ফেলে দেন তিনি। তাই পয়েন্টের হিসেবে নয়, সোজাসুজি ফাইনালে উঠে গেলেন ভারতীয় কুস্তিগীর।


তবে ফাইনালে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করে রয়েছে রবির জন্য। তাঁর মুখোমুখি হবেন টানা দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জাভুর উগুয়েভ। সেই ম্যাচ জিতলেই সোনা পেয়ে যাবেন রবি। বৃহস্পতিবার সোনার পদকের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন রবি ও জাভুর।


অন্যদিকে, টোকিও অলিম্পিক্সের বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লভলিনা বড়গোহাঁইকে। এদিন তিনি হেরে গেলেন তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে। ৬৪-৬৯ কেজি মহিলাদের ওয়েল্টারওয়েট বিভাগে বিশ্বের ১ নম্বর বুসেনাজ সুরমেনলির বিরুদ্ধে হার মানতে হল লভলিনাকে। ৫-০ ব্য়বধানে এদিন হার মানতে হয় লভলিনাকে। বেশ কয়েকবার ভাল পাঞ্চ করলেও অভিজ্ঞতাতেই এদিন মূলত বাজিমাত করেন তরুস্কের বক্সার। দ্বিতীয় রাউন্ডে একটা সময় তুরস্কের বক্সারের থেকেও ভাল পারফর্ম করছিলেন লভলিনা। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে জয় হাসিল করে নেন বুসেনাজ সুরমেনলি।


তুরস্কের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এদিন সেমিতে হারতে হয় ভারতের মহিলা বক্সারকে। আগেই অলিম্পিক্সে ভারতের দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত করেছিলেন বক্সার লভলিনা। চিনা তাইপেইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছিলেন ৪-১ ফলে।


এর আগে বক্সিংয়ে ২০০৮ অলিম্পিক্সে বিজেন্দর সিংহ পদক জিতেছিলেন। এরপর ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে কিংবদন্তি মেরি কমও পদক জিতেছিলেন। ২ জনেই অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এদিন লভলিনাও ব্রোঞ্জ জিতলেন। প্রথমবার অলিম্পিক্সে খেলতে নেমেছিলেন লভলিনা।