টোকিও: চিনের হে বিং জিয়াওকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতলেন পি ভি সিন্ধু।


রিও অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী সিন্ধু এবারও অলিম্পিক্সের শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন। তবে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় তাঁর সোনা বা রুপোর পদক জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল। রবিবার ছিল ব্রোঞ্জের ম্যাচ। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই সেমিফাইনালের পরাজিতরা। হে বিং জিয়াওয়ের বিরুদ্ধে সিন্ধু প্রথম গেম জিতে নেন মাত্র ২৩ মিনিটে। ২১-১৩ ব্যবধানে। দ্বিতীয় গেমে চিনা প্রতিপক্ষ কিছুটা লড়াই করলেও শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় গেমও জিতে নেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমের ব্যবধান সিন্ধুর পক্ষে ২১-১৫।


সোনা বা রুপোর পদক জয়ের স্বপ্ন ছিল না। কিন্তু তা বলে ব্য়াডমিন্টনে ভারতের পদক জয়ের সব সম্ভাবনা যে শেষ হয়ে যায়নি, বরং ব্রোঞ্জ জয়ের ভাল সুযোগ রয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং সিন্ধু। সেমিফাইনালে পরাজয়ের পরই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচে নিজের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবেন। কথা রাখলেন সিন্ধু।


স্ট্রেট গেমে সেমিফাইনালে পরাজয়ের পর রবিবার ব্রোঞ্জ পদকের ম্য়াচে নেমেছিলেন ভারতীয় শাটলার। তার আগে সিন্ধু বলেছিলেন, 'এখন বিশ্রাম নেব আর কালকের জন্য প্রস্তুতি শুরু করব। কারণ এখনও কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। আমার এখনও একটা সুযোগ রয়েছে। আশা করছি নিজের সেরাটা দিতে পারব। আজ হয়তো আমার দিন ছিল না। তবে কাল আবার প্রাণপাত চেষ্টা করব।'


নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন তিনি। চিনা প্রতিপক্ষকে কার্যত দাঁড়াতেই দেননি। এক ঘণ্টারও কম সময়ে, ৫৩ মিনিটে ২১-১৩, ২১-১৫ গেমে জিতে যান সিন্ধু।


ব্রোঞ্জ জয়ের পর অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন সিন্ধু। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেছেন, 'আপনার অনবদ্য পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত। টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ের শুভেচ্ছা। আমাদের দেশের গর্ব সিন্ধু, অসাধারণ অলিম্পিয়ানদের মধ্যে একজন।'


রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ট্যুইট করেছেন, 'দেশের প্রথম মহিলা হিসাবে পরপর দুটি অলিম্পক্সে পদক জিতলেন সিন্ধু। ধারাবাহিকতা, নিষ্ঠা ও সাধনার নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন উনি। ভারতকে গৌরব এনে দেওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।'