প্যারিস: নির্ধারিত মাপের চেয়ে ওজন বেশি হওয়ায় প্যারিস অলিম্পিক্সে কুস্তিতে পদক নিশ্চিত করে ফেলার পরেও বাতিল হয়ে গিয়েছিলেন বিনেশ ফোগত। তাঁকে যুগ্মভাবে রুপোর পদক দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আন্তর্জাতীক ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিনেশ ফোগত। তবে সেই আবেদনও নাকচ হয়ে যায়।


কেন খারিজ হয়ে গিয়েছিল বিনেশের আবেদন? এ নিয়ে বিস্তারিত জানাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। জানানো হল, পদক না পাওয়ার জন্য দায়ী বিনেশ ফোগটই। দেহের ওজন যাতে না বাড়ে সেদিকে নজর রাখা উচিত ছিল ভারতের তারকা কুস্তিগীরেরই, স্পষ্ট জানিয়ে দিল ক্যাস। প্রত্যেক অ্যাথলিটকে নির্দিষ্ট ওজনসীমার মধ্যে থাকতেই হবে। কোনওভাবেই ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না বলে আদালত সাফ জানিয়েছে।। কোনও পরিস্থিতিতেই বিশেষ কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস সোমবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল।


১৪ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে খারিজ হয়ে গিয়েছিল বিনেশের আবেদন। জানানো হয়েছিল, বিনেশ পদক পাচ্ছেন না। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত, তা সাফ বলা হয়নি সেদিন।


সোমবার ২৪ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। তাতে বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে, বিনেশ ফোগতের কেন পদক হাতছাড়া হয়েছে। ক্যাসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আবেদনকারী অ্যাথলিট, এক্ষেত্রে বিনেশের ওজন নির্ধারিত মাপের চেয়ে বেশি ছিল। ক্যাসের যুক্তি,  বিনেশ ফোগত অভিজ্ঞ কুস্তিগির। নিয়ম সম্পর্কে তাঁর অবহিত থাকাই উচিত ছিল। ওজনের ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন না, এমনটা ভাবা অযৌক্তিক। ক্যাসের রিপোর্টে একথাও বলা আছে,  ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রতিযোগী কেবল একটিই বিভাগে অংশ নিতে পারেন। প্রতিযোগিতায় নামার আগে নিজের ওজন ঠিক রাখা একান্তভাবে তাঁরই দায়িত্ব। অর্থাৎ এক্ষেত্রে পদক হাতছাড়া করার ক্ষেত্রে বিনেশ নিজেই যে দায়ী তা বুঝিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত।


অলিম্পিক্সে গোটা দেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত নেমে আসে বিপর্যয়। তিন জন কুস্তিগীরকে হারিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছিলেন বিনেশ। রুপো নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ফাইনালের দিন সকালে ওজন পরিমাপের সময় দেখা যায়, নির্ধারিত মানের চেয়ে ১০০ গ্রাম ওজন বেশি বিনেশের। সেই কারণে তাঁকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।


আরও পড়ুন: স্ত্রীর ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদতে কাঁদতেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থককে কাঁধে তুলে নেন 'নায়ক' শিলাদিত্য