নয়াদিল্লি: চলতি ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাঁকে দু দুবার ডাকা হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন অম্বাতি রায়াডু। ৩৩ বছর বয়সি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করলেও বিসিসিআইয়ের জনৈক কর্তা জানিয়েছেন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ও বোর্ডকে এটা জানিয়েছে।




একটি সূত্রের খবর, গতকালই আইসল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ট্যুইট করে রায়াডুকে তাদের দেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছে। তাঁরা চায়, রায়াডু তাদের দেশে গিয়ে ক্রিকেট খেলুন।




বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রাখা হয়েছিল অন্ধ্রের ক্রিকেটারকে। কিন্তু প্রথমে ওপেনার শিখর ধবন, পরে অল রাউন্ডার বিজয় শঙ্কর চোট পেয়ে বাদ পড়লেও রায়াডুকে বদলি হিসাবে পাঠানো হয়নি। ধবনের খেলার সম্ভাবনা বাতিল হওয়ায় পাঠানো হয়েছিল শঙ্করকে। তিনিও পরে ছিটকে যান চোটের জন্য। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ওপেনার ময়াঙ্ক অগ্রবালকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভারতের হয়ে ৫৫টি একদিনের ম্যাচ খেলে ১৬৯৪ রান করেছেন রায়াডু। গড় ৪৭.০৫। টেস্ট টিমে কখনও জায়গা হয়নি তাঁর। বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ের সময় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অধিনায়ক বিরাট কোহলি আগেই তাঁকে চার নম্বরে পছন্দের ব্যাটসম্যান বলে জানিয়েছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ টিমে তাঁর বদলে বিজয় শঙ্করের ওপরই ভরসা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট।
যদিও নির্বাচকদের চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ রায়াডুর কথা না ভাবার সিদ্ধান্তের সমর্থনে বলেন, শঙ্কর ‘থ্রি ডায়মেনশনাল স্কিলের অধিকারী’। পাল্টা রায়াডু সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্টে কটাক্ষ করেন, এই সবে বিশ্বকাপ দেখব বলে এক সেট নতুন থ্রি ডি গ্লাসের অর্ডার দিলাম! এই কটাক্ষে বোর্ড তাঁর ওপর চটে ওঠে বলে অভিমত ক্রিকেট মহলের।
রায়াডু ঘরোয়া ক্রিকেটেও সহ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে বিতর্কে থেকেছেন। বিবাদ হয়েছে ম্যাচ প্রশাসকদের সঙ্গেও।