মুম্বই: গুরু পূর্ণিমায় গুরুকে শ্রদ্ধা। গুরু রমাকান্ত আচরেকরকে শ্রদ্ধা জানালেন সচিন তেন্ডুলকর। এদিন নিজেই গুরু আচরেকরের বাড়িতে যান সচিন। সেখানে গিয়েই গুরুকে শ্রদ্ধা জানান মাস্টার ব্লাস্টার। সেই ভিডও নিজের ট্যুইটারে পোস্টও করেছেন সচিন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে আচরেকরের ফটোতে ফুল দিয়ে প্রণাম জানিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাঁর প্রিয় ছাত্র।



এর আগে শিক্ষক দিবসেও স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সচিন তাঁর ট্যুইটারে লিখেছিলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের শুধু শিক্ষাই দেন না, মূল্যবোধও শেখান। আচরেকর স্যার আমাকে মাঠে এবং জীবনে সোজা খেলা শিখিয়েছিলেন। আমার জীবনে অপরিমেয় অবদানের জন্য আমি সারাজীবন তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর শিক্ষা এখনও আমাকে চালিত করে।’ তাঁর প্রিয় ছাত্র সচিন বরাবরই ছোটবেলার কোচের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিংবদন্তী হয়ে ওঠার পরেও কোচকে ভোলেননি মাস্টার ব্লাস্টার। আজও তিনি সেটাই বুঝিয়ে দিলেন।


গত ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সচিন তেন্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলি, সমীর দীঘেদের কোচ রমাকান্ত আচরেকর। বয়স হয়েছিল ৮৬। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন আচরেকর। সেই রোগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। উল্লেখ্য, ১১ বছর বয়স থেকে মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে আচরেকরের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন সচিন। মূলত তাঁর জন্যই বিখ্যাত হয়ে যান এই কোচ। ১৯৯০ সালে দ্রোণাচার্য এবং ২০১০ সালে পদ্মশ্রী পান আচরেকর। তিনি ক্রিকেটার হিসেবে একটিমাত্র প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু কোচ হিসেবে অসাধারণ সাফল্য পান।


প্রিয় কোচের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে সচিন বলেছিলেন, ‘আচরেকর স্যারের উপস্থিতিতে স্বর্গে ক্রিকেট সমৃদ্ধ হবে। আমার জীবনে তাঁর অবদান ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তাঁর তৈরি করা ভিত্তির উপর আমি দাঁড়িয়ে আছি। অন্য ছাত্রদেরর মতো আমিও তাঁর কাছ থেকে ক্রিকেটের অ, আ, ক, খ শিখেছিলাম। গত মাসে কয়েকজন ছাত্রর সঙ্গে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাই। পুরনো কথা স্মরণ করে আমরা হাসছিলাম। আচরেকর স্যার আমাদের সহজ-সরল জীবন কাটাতে শিখিয়েছিলেন। আমাদের তাঁর জীবনের একটি অংশ করে তোলা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য ধন্যবাদ। ওয়েল প্লেড স্যার। আপনি যেখানেই থাকুন, আরও কোচিং করে যান।’