মুম্বই: তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ। কিন্তু তাঁর কোচিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে খারাপ সময় বলা চলে। সাফল্য তো এনে দিতে পারেননি, তার ওপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (sourav ganguly) নেতৃত্ব হারানোর পেছনে অন্যতম কলকাঠিও নেড়েছিলেন তিনি। সেই গ্রেগ চ্যাপেল (Greg Chappell) এবার প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। এক সাক্ষাৎকারে ধোনিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চ্যাপেল বলেন, ''ধোনির সঙ্গে আমি কাজ করেছিলাম ভারতে। ও রাঁচি থেকে উঠে এসেছে। নিজের ক্রিকেটকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে ওঁর মতো ক্রিকেট মস্তিষ্কও বিশ্বে খুব কম আছে। স্ট্র্যাটেজি সাজানো, ক্রিকেটীয় স্কিল একেবারে নখদর্পনে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।''
উল্লেখ্য, ২০০৫-২০০৭ পর্যন্ত ভারতের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন গ্রেগ চ্যাপেল। আর ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ধোনির। জন রাইটের কোচিংয়ে ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব তাঁর অভিষেক হলেও পরবর্তীতে চ্য়াপেল-দ্রাবিড় জমানায় ভারতীয় ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন এমএসডি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ওয়ান ডে কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ১৮৩ রানের ইনিংসটিও এসেছিল চ্যাপেল কোচ থাকার সময়ই।
ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় অধিনায়ক থাকার সময়ই কোচ হয়ে এসেছিলেন গ্রেগ। কিন্তু প্রাক্তন অজি ব্যাটিং তারকার সঙ্গে ভারতীয় দলের প্লেয়ারদের কারোরই সেভাবে বনিবনা হত না। এমনকী দলের মনোবলও ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে হরভজন সিংহ বলেছিলেন, ''চ্যাপেল এসেই পুরো দলটাকেই কেমন তছনছ করে দিলেন। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এসেছিলেন, জানি না। একটা দারুণ দলকে কীভাবে ধ্বংস করে দিতে হয়, তাঁর থেকে ভালো কেউ জানে না। ভগবানই জানেন, তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল। গোটা প্রেসও তিনি যেমন চাইতেন, তেমনই লিখত। যা মনে হত, তাই করতেন তিনি।''
উল্লেখ্য, কোচিং ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে ছিলেন তিনি। ১৯১৬ সালে তৃতীয়বারের জন্য তিনি নির্বাচক কমিটিতে এসেছিলেন। এর আগে অবশ্য প্রথমবার অবসর নেওয়ার কিছুদিন পরেই ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত। এরপর ২০১০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সিনিয়র দলের নির্বাচকের দায়িত্ব সামলেছেন গ্রেগ।