ভুবনেশ্বর: ঐক্য, আত্মবিশ্বাস আর ঘরের মাঠের সুবিধে। এই তিনের সমন্বয়ে ৪৩ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বকাপ হকি জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত। আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের আগে টিম ইন্ডিয়া উৎসাহে ফুটছে।


পুল সি-তে ভারতের এই ম্যাচ হতে চলেছে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ।৮ বার অলিম্পিকজয়ী দেশ বিশ্বকাপ জিতেছে একবারই, সেটাও ১৯৭৫-এ। তারপর থেকে ৪ দশকের বেশি অ্যাস্ট্রো টার্ফে শুধু রাজত্ব করেছে শক্তিশালী চেহারার খেলোয়াড়ে ভর্তি ইউরোপীয় দেশগুলি- নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮২-র বিশ্বকাপে ভারতীয় দল পঞ্চম স্থান পায়, গত ১০টি বিশ্বকাপে সেটাই তাদের সেরা পারফরম্যান্স।

কিন্তু এবার বিশ্বের পঞ্চম সেরা দল ভারত মরিয়া অন্ততপক্ষে সেমিফাইনালে পৌঁছতে, আর সম্ভব হলে কাপ জিততে।

যদিও জয়ীর মঞ্চে পৌছতে হলে ভারতকে হারাতে হবে ২ বারের বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও অলিম্পিক জয়ী আর্জেন্তিনাকে। তা ছাড়া  রয়েছে লাখো লাখো অনুরাগীর প্রত্যাশার চাপ। শেষবার ভারতে বিশ্বকাপ হকি হয় ২০১০-এ, ভারত অষ্টম হয়েছিল সেবার। কিন্তু এবার ভারতীয় দল পুরনো ব্যর্থতার ইতিহাস পালটে ফেলার কথা ভাবছে।

হরেন্দ্র সিংহ ভারতীয় দলের প্রধান প্রশিক্ষক। দল এশিয়ান গেমসের খেতাব ধরে রাখতে না পারায় তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। এবার এই টুর্নামেন্টেও যদি ব্যর্থতা আসে, তবে তাঁর চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। এই হরেন্দ্রই অবশ্য ২ বছর আগে লখনউতে জুনিয়র ভারতীয় দলকে বিশ্বজয়ী করেছিলেন, সেই জাদু নতুন করে দেখানোর লক্ষ্যে তিনি জাতীয় দলে নিয়েছেন জুনিয়র বিশ্বজয়ী দলের ৭ জন খেলোয়াড়কে। এছাড়া রয়েছেন সিনিয়র খেলোয়াড় অধিনায়ক মনপ্রীত সিংহ, পিআর শ্রীজেশ, আকাশ দীপ সিংহ ও বীরেন্দ্র লাকড়া। যদিও ড্র্যাগফ্লিকার রুপিন্দর পাল সিংহ ও স্ট্রাইকার এসভি সুনীলের অভাব অনুভূত হবে। রুপিন্দরকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সুনীল আনফিট।

তবে পুল সি-তে কানাডা ও দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ অনায়াসে টপকানো যাবে বলে আশা করা হলেও ভারতের আসল পরীক্ষা হবে ২ ডিসেম্বর, বিশ্বের তিন নম্বর দল বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। সেদিনই বোঝা যাবে বিশ্বজয়ের জন্য ভারতীয় দল আসলে কতটা প্রস্তুত।