করাচি: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারের পর থেকেই নানা মুনির নানা কথা। প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই ভারতের হারের ময়নাতদন্তে নানারকম মন্তব্য করেছেন। এবার সেই তালিকায় শাহিদ আফ্রিদি। ভারতের হারের পর প্রাক্তন পাক অধিনায়ক মনে করেন যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ডুবিয়েছে ভারতকে। তিনি বলেন, ''যখন ক্রমাগত তুমি জিতে যাচ্ছ, তখন একটা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জন্ম হয়। সেই বিষয়টিই ক্ষতির কারণও হতে পারে।'' উল্লেখ্য, পাকিস্তান গত বিশ্বকাপে একদমই ভাল খেলতে পারেনি। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের।
বিশ্বকাপ ফাইনালের কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে প্রায় সকলেই একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন, রোহিত শর্মার আউট হয়ে ফেরাই ক্রিকেটীয় বিশ্বযুদ্ধের আসল টার্নিং পয়েন্ট। তুলনামূলক আস্তে বল আসা পিচে ক্রমশ ভারতের রানের গতিতে কার্যত ব্রেক লাগে হিটম্যান আউট হয়ে ফেরার পর। তারপর ব্যাট হাতে নেমে ট্রাভিস হেডের (Travis Head) দুরন্ত শতরানে অস্ট্রেলিয়াকে হেক্সা জেতানো। তবে ব্যাটহাতে যে ভূমিকা অজি ওপেনার নিয়েছিলেন, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর ক্যাচটি। প্রায় ১১ মিটার পিছনে দৌড়ে গিয়ে রোহিতের তুলে দেওয়া বলটি তালুবন্দি করেছিলেন তিনি।
আর দুরন্ত ক্যাচ ও তাঁর ইনিংসের পর বিশ্বকাপ ফাইনালের (World Cup Final) সেরা ট্রাভিস হেড বলেন, 'ও (রোহিত শর্মা) এই মুহূর্তে বিশ্বের আনলাকিয়েস্ট ম্যান (সবথেকে দুর্ভাগা মানুষ)। হ্যাঁ, ফিল্ডিং ক্ষুরধার করতে মাঝে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছিলাম। তবে ক্যাচ হোক বা ফাইনালের মঞ্চে দলকে জেতানো শতরান, কোনটাই আগে থেকে ভাবিনি। পিছনের দিকে দৌড়ে ক্যাচটা ধরতে পারব, ভাবিনি।'
এদিকে, রবিবার হারের পরই ম্যাক্সওয়েলকে একটি উপহার দেন কোহলি। নিজের জার্সি। বিরাটকে ধন্যবাদ জানান তাঁর আরসিবি সতীর্থ। ফাইনালে পরাজয়ের জন্য সান্ত্বনাও দেন। আলিঙ্গন করেন দুই তারকা। পরে আইসিসি সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রথমে ব্যাটিং করে ২৪০ রানে অল আউট টিম ইন্ডিয়া। যারা গোটা টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলিংকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁরাই ফাইনালে বর্ণহীন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ অস্ট্রেলিয়ার। তাও ৪২ বল বাকি থাকতে। ভারতীয় বোলাররা দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার পর যে পাল্টা লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখেছিল এক লক্ষ ৩২ হাজারের গ্যালারি, তা কার্যত একপেশে ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল শেষের দিকে।