২০১০-১১ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপ টাউন টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ ওভার বল করে ১২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন হরভজন। সচিন বলেছেন, ‘সেই ম্যাচে জাহির ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লোনওয়াবো সোতসোবে বাঁ হাতি হওয়ায় হরভজনের জন্য যথেষ্ট ক্ষত তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ইশান্ত (শর্মা) ও শ্রীশান্ত রাউন্ড দ্য উইকেট বল করে। ফলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বল করার ক্ষেত্রে হরভজনের সুবিধা হয়। এবারের পরিবেশ অশ্বিনের জন্য আরও কঠিন। উইকেট একটু ভেজা থাকতে পারে। ভারতের পেসারদের অশ্বিনকে সাহায্য করতে হবে।’
বর্তমান ভারতীয় দলের পেসারদের নিয়ে আশাবাদী সচিন। তিনি বলেছেন, ‘আমার ২৪ বছরের কেরিয়ারে কোনওদিন এমন একজন অলরাউন্ডারকে পাইনি যে পেসার। কপিল দেব ও মনোজ প্রভাকর অবশ্য ছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রথম তিনজন পেসারের অন্যতম ছিলেন। এবার আমরা তিন পেসার ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার খেলানোর বিলাসিতা দেখাতে পারব। হার্দিক (পাণ্ড্য) ঘণ্টায় ১৩৮-১৪০ কিমি গতিবেগে বল করতে পারে এবং সাত বা আট নম্বরে কার্যকরী ব্যাটিং করতে পারে। ও শ্রীলঙ্কায় সেটা করেছে।’
৬ নম্বরে হার্দিককে খেলানো উচিত না রোহিত শর্মাকে দলে রাখা উচিত, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সচিন। তাঁর মতে, টিম ম্যানেজমেন্টই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। একইভাবে ওপেনার হিসেবে লোকেশ রাহুল, শিখর ধবন ও মুরলী বিজয়ের মধ্যে কোন দু’জনকে খেলানো উচিত, সে বিষয়েও কোনও মন্তব্য করতে চাননি সচিন। তিনি এই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তুলনা করতে নারাজ। পেসার জসপ্রীত বুমরাহর প্রশংসা করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার।