লাহৌর: প্রথম দুই টেস্টের বাইশ গজ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। দুই ম্যাচই ছিল অমীমাংসিত। তবে লাহৌরে তুলনায় সতেজ পিচ পেয়েই পরিচিত আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল অজিদের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টেস্টের শেষ দিন নাটকীয় জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া (Pak vs Aus)। সেই সঙ্গে ১-০ ব্যবধানে জিতে নিল সিরিজ।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১২৩ রানের লিড ছিল অস্ট্রেলিয়ার হাতে। অজিরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ৩ উইকেটে ২২৭ রান তুলে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৫১ রানের। চতুর্থ দিনের শেষে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭৩ রান তুলেছিল।
নাটকীয় ফলাফল
ম্যাচের পঞ্চম তথা শেষ দিনে যে কোনও দলই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারত। পাকিস্তানের দরকার ছিল ২৭৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। মনে করা হয়েছিল, চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে ৭৩ তুলে ফেলা পাকিস্তান ম্যাচ জিতে নিতে পারে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে একটু তাড়াতাড়ি ডিক্লেয়ার করে ফেলল না তো অস্ট্রেলিয়া? যদিও শেষ হাসি হাসে অস্ট্রেলিয়ারই। তারা পাকিস্তানের শেষ ইনিংস গুটিয়ে দেয় ২৩৫ রানে। ১১৫ রানের ব্যবধানে লাহৌর টেস্টে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
বাবরের লড়াই
শেষ ইনিংসে ক্যাপ্টেন বাবর আজম (Babar Azam) পাকিস্তানের হাল ধরেছিলেন দীর্ঘ সময়। তবে ব্যক্তিগত ৫৫ রানের মাথায় তিনি ফিরতেই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের প্রতিরোধ। নাথান লায়নের ঘূর্ণির সামনে পাক ব্যাটারদের মোটেও স্বচ্ছন্দ দেখায়নি। ইমাম উল হক ৭০, আবদুল্লা ২৭, আজহার আলি ১৭, ফাওয়াদ আলম ১১, মহম্মদ রিজওয়ান ০, সাজিদ খান ২১, হাসান আলি ১৩, শাহিন আফ্রিদি ৫ ও নাসিম শাহ ১ রান করে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন নউমান আলি।
দাপট কামিন্স-খোয়াজার
শেষ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৮৩ রানে ৫ উইকেট নেন লায়ন। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ক্যামেরন গ্রিন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কামিন্স। ৩ ম্যাচে ৪৯৬ রান সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন উসমান খোয়াজা।
প্রথম ম্যাচে নেই তারকা পেসার, এবিপি লাইভের প্রশ্নে জানালেন কেকেআর কোচ