নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার বরাবরই বিতর্কিত চরিত্র। মাঠে সবসময়ই তাঁকে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তাঁর আক্রমণাত্মক ভাবভঙ্গি দেখা গিয়েছে। একবার হরভজন সিংহ ও যুবরাজ সিংহের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। যদিও মারপিট করার কথা অস্বীকার করেছেন এই প্রাক্তন পেসার। তাঁর দাবি, সেটা ছিল ‘ভালবাসার আতিশয্য’।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি কারও সঙ্গে মারপিট করিনি। আমি এভাবেই সবার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করি। সেটা করতে গিয়ে আমি মাত্রা ছাড়িয়ে যাই। আমি যদি কাউকে পছন্দ করি, তাহলে তাকে তুলে ছুঁড়ে ফেলে দিই। আমি যুবরাজের কোমর ভেঙে দিয়েছিলাম, একবার শাহিদ আফ্রিদিকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে ওর পাঁজর ভেঙে দিয়েছিলাম। আবদুল রজ্জাক একবার আমার সঙ্গে স্ট্রেচিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিল। আমার ভালবাসা একটু বন্য প্রকৃতির। আমি অল্পবয়সে বোকা ছিলাম। কোনওদিন নিজের শক্তি বুঝতে পারিনি।’

এর আগেও একবার একটি সাক্ষাৎকারে যুবরাজ ও হরভজনের সঙ্গে মারপিট করার কথা অস্বীকার করেছিলেন শোয়েব। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘ভাজ্জি আর যুবি আমার ছোট ভাই। ওদের মারার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা অনুশীলনের সময় কুস্তি লড়ছিলাম। এছাড়া আর কিছু হয়নি।’

তবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে মারামারি করার কথা অস্বীকার করলেও, পাকিস্তানের জাতীয় দলের সতীর্থদের মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন শোয়েব। তিনি বলেছেন, ‘আমি কেরিয়ারে একবার-দু’বার সতীর্থদের সঙ্গে মারপিটে জড়িয়ে পড়েছি। তবে দলের সবার সঙ্গেই দারুণ সম্পর্ক ছিল। হয়তো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল না। তবে সতীর্থদের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি।’

এই প্রাক্তন পেসার আরও জানিয়েছেন, ঘণ্টায় ১০০ মাইলের বেশি গতিতে বল করা তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই ছিল না। তিনি অনুশীলনের সময় পিঠে ১৭০ কেজি ওজন নিয়ে ছুটতেন। ক্রিকেট বলের চেয়ে ভারী কিছু একটা বস্তু নিয়ে ২৬ গজ দূর থেকে বল করতেন। ফলে ২২ গজে যখন বল করতে যেতেন, তখন বলের গতি ৬ কিমি বেশি থাকত।