নয়াদিল্লি : ক্রীড়া জগতে অন্যতম বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভারত বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ। উভয় দেশের মধ্যে একাধিক টানটান ম্যাচ হয়েছে অতীতে। কেউ কাউকে একচুল জমি ছাড়তে চায় না। সর্বোচ্চমানের একাধিক ব্যাটারের জন্ম দিয়েছে ভারত, অন্যদিকে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বরাবর শক্তিশালী। সেটাই তাদের সবথেকে বড় শক্তি থেকেছে বরাবর। প্রাক্তন পাকিস্তানি ব্যাটার বসিত আলি নিজের সময়ে খেলার কথা স্মৃতিচারণা করেছেন। ড্রেসিং রুমের চর্চা নিয়ে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আলি স্বীকার করে নিয়েছেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেণ্ডুলকরকে ভয় পেতেন।
প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন-সহ একাধিক তারকা ব্যাটার ছিলেন ভারতীয় দলে। কিন্তু, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ওয়াসিম আক্রম পেপ টকে তেণ্ডুলকরের কথা বলতেন। আলি ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, "উনি (সচিন) একজন টপ অর্ডার ব্যাটার ছিলেন। আমি ছিলাম মিডল অর্ডার ব্যাটার। তাই আমরা ওঁর ব্যাটিং দেখতাম। আমাদের টিম মিটিংয়ে, সেই সময় আমাদের অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম সর্বত্র, প্র্যাক্টিসের সময়, খাওয়ার সময়ও বলতেন যে, সচিনকে আউট করে দাও আমরা ম্যাচ জিতে যাব।"
তাঁর সংযোজন, "সচিন যে-ই আউট হয়ে যেতেন, পাকিস্তান ম্যাচ জিতে যেত। এমনকী সেই সময় আজহারউদ্দিনও ছিলেন, কিন্তু আমরা ওঁকে ভয় পেতাম না। কিন্তু সচিনকে ভয় পেতাম।"
ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সচিন। ৬৯টি ম্যাচে ৬৭টি ইনিংস খেলে তিনি ২৫২৬ রান করেন। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি করেছেন ১০৫৭। গড় ৪২। যে কোনও বোলিং আক্রমণের সামনে তিনি ছিলেন সাবলীল। স্কিল, টেকনিকে ছিলেন নিখুঁত। গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে তিনি বছরের পর বছর নিজের ব্যাটিং দক্ষতায় মুগ্ধ করে গিয়েছেন। ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সালে পর্যন্ত তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের ব্যাপ্তি। ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর তিনি প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলেন। ৬৬৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁর সংগ্রহে ৩৪,৩৫৭ রান। গড় ৪৮.৫২। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। তিনি ১০০টি শতরান ও ১৬৪টি অর্ধ শতরানও করেছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।