কার্ডিফ: ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে সহজেই আট উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল পাকিস্তান। ২১২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৭.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ভারত ও বাংলাদশের মধ্যে যে দল জিতবে, ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ফল যাই হোক না কেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপমহাদেশেই আসছে।


আজ প্রথম সেমি-ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।  এই ম্যাচে পাকিস্তান দলে দুটি বদল হয়। চোটের জন্য খেলতে পারেননি না বাঁ হাতি পেসার মহম্মদ আমির। তাঁর বদলে দলে আসেন আনকোরা রুম্মান রইস। ফাহিম আশরফের বদলে দলে আসেনন লেগস্পিনার শাদাব খান। ইংল্যান্ড দলেও একটি বদল হয়। জেসন রয়ের বদলে দলে আসেন জনি বেয়ারস্টো। প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই ভাল পারফরম্যান্স দেখালেন রুম্মান। তিনি ৯ ওভার বল করে ৪৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। ৪৯.৫ ওভারে ২১১ রানে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। জনি বেয়ারস্টো (৪৩), জো রুট (৪৬), ইয়ন মর্গ্যান (৩৩) ও বেন স্টোকস (৩৪) লড়াই করেন। বাকিরা কেউই সেভাবে রান পাননি। রুম্মান ছাড়া ভাল বল করেন জুনেইদ খান (৪২ রানে ২ উইকেট) ও হাসান আলি (৩৫ রানে ৩ উইকেট)।

ম্যাচের শুরুটা ভাল করার পর শেষটাও ভাল করল সরফরাজ আহমেদের দল। অল্প রান করে প্রবল চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে ফাইনালে যেতে গেলে ইংরেজ বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাতে হত। কিন্তু ইংরেজ বোলাররা ভাল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারেননি। আজহার আলি ও ফাখর জামান সাবলীলভাবেই ব্যাটিং করেন। অর্ধশতরান করেন ফাখর জামান (৫৭)। আজহার ৭৬ রান করে আউট হন। বাবর আজম ৩৮ ও মহম্মদ হাফিজ ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।

পাকিস্তান দল- আজহার আলি, ফাখর জামান, বাবর আজম, মহম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, রুম্মান রইস, শাদাব খান, হাসান আলি ও জুনেইদ খান।

ইংল্যান্ড দল- জনি বেয়ারস্টো, অ্যালেক্স হেলস, জো রুট, ইয়ন মর্গ্যান, জোস বাটলার, বেন স্টোকস, মইন আলি, আদিল রশিদ, লিয়াম প্লাঙ্কেট, মার্ক উড ও জেক বল।