করাচি: চারদিনের টানটান লড়াই। কখনও পাল্লা ঝুঁকছে একদিকে, আবার কখনও অন্যদিকে। এমনই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল পাকিস্তান। সাত উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল পাকিস্তান।


প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ২২০ রান। এরপর ব্যাট করতে নেমে একটা সময় মাত্র ২৭ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। ফাওয়াদ আলমের ১০৯ রানের ইনিংস খাদের কিণারা থেকে টেনে তোলে দলকে। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের লিড পেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান।  ম্যাচের গতি যখন পাকিস্তানের দিকে, তখনই সফরকারী দল ঘুরে দাঁড়ায়। তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান একটা সময় ছিল ১ উইকেটে ১৭৫। সেখান থেকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। শেষপর্যন্ত ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল মাত্র ৮১ রানের। খেলা বাকি ছিল প্রায় দেড়দিন।  ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

ফাওয়াদ ছাড়াও পাকিস্তানের এই জয়ের নায়ক বাঁহাতি স্পিনার  নউমান আলিও।  দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। নউমানের পাশাপাশি ইয়াসির শাহও চার উইকেট নেন। তাঁদের বোলিংয়ের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে গুটিয়ে যায়।

 জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইমরান ভাট (১২), আবিদ আলি (১০) ও অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট হারায় পকিস্তান। আজহার আলি (অপরাজিত ২১ ও ফাওয়াদ আলম (অপরাজিত ৪) দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।

দিনের শুরুতে চার উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে আর ৫৮ রানই যোগ করতে পারে সফরকারী দল।

নউমান এই ম্যাচে ৭৩ রান দিয়ে মোট সাত উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে, ইয়াসির ১৩৩ রানে সাত উইকেট নিয়েছেন তিনি।

দুটি দল এরপর রওয়ালপন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এই টেস্ট শুরু হবে।

৩৪ বছর বয়সে অভিষেক টেস্টে নেমেই সাত উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিলেন নউমান।