বার্মিংহ্যাম: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে হারাল পাকিস্তান। এর ফলে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা সামলে টুর্নামেন্টে আশা জিইয়ে রাখল সরফরাজের দল।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এজবাস্টনের ঢিমে গতির উইকেটে পাক পেসার ও স্পিনারদের দাপটে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং টপ অর্ডার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।

মিডল অর্ডারে ক্রিস মরিস ও কাগিসো রাবাডা ডেভিড মিলারকে সঙ্গ না দিলে এ দিন দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো দু’শোও পেরোত না হয়তো। মিলার একদিকের উইকেট কামড়ে পড়ে থাকেন। তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে মন্থর অর্ধশতরান করেন তিনি। ৮৩ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষপর্যন্ত ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মিলার। তাঁর ইনিংসে রয়েছে মাত্র চারটি বাউন্ডারি। ক্রিস মরিসের সঙ্গে মিলারের সপ্তম উইকেটে ৪৭ রান ও রাবাদার সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৪৮ রানের পার্টনারশিপে ভর করে কোনওরকমে ৮ উইকেটে ২১৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম দুই উইকেট নেন। অন্যদিকে, পেসার হাসান আলি (১৮ রানে ৩ উইকেট) প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডার ভেঙে দেন। পেসার মহম্মদ আমির ও জুনেইদ খান (৫৩ রানে ২ উইকেট) দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ বজায় রাখেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ২০ ওভারে ৭৬-২ হয়ে যায়। দুই ওপেনারই ফিরে যান ৪১ রানের মধ্যে। এরপর ২৭ ওভারে পাকিস্তানের রান যখন ৩ উইকেটে ১১৯, তখন বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি অনুযায়ী, পাকিস্তান ১৯ রানে এগিয়ে ছিল। এরপর খেলা না হওয়ায় পাকিস্তানই জিতল।

এই জয়ের পর গ্রুপ বি থেকে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান।