ট্যুইটারে হার্দিক লিখেছেন, কফি উইথ করন-এ করা মন্তব্য নিয়ে ভেবে দেখার পর আমি তাঁদের প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা চাইছি যাঁরা কোনও ভাবে সেজন্য আঘাত পেয়েছেন। সত্যি বলতে কী, আমি ওই শোয়ের চরিত্রে কিছুটা ভেসে গিয়েছিলাম। কোনওভাবেই কারও সেন্টিমেন্টকে আঘাত বা অসম্মান করতে চাইনি। সম্মানই করি।
ওই শোয়ে হার্দিক বড়াই করেছেন, তিনি অনেক মেয়েকে পটিয়েছেন। বাবা-মায়ের সামনেও এনিয়ে কোনও লুকোছাপাও নেই তাঁর। কোনও ক্লাবে গিয়ে কেন তিনি মেয়েদের নাম জিজ্ঞাসা করেন না, প্রশ্ন করা হলে হার্দিক বলেন, মেয়েরা কীভাবে চলাফেরা করে, সেটা দূর থেকে দেখি, দেখতে ভাল লাগে।
কিন্তু হার্দিক ট্যুইটারে ক্ষমা চাইলেও বিসিসিআই নরম হয়নি। সংস্থার জনৈক কর্তা বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করে ব্যাপারটা চাপা দেওয়া যাবে না। মহিলাদের সম্মানের মতো গুরুতর বিষয়কে তিনি যে কতটা হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন, সেটাই ফুটে উঠছে। ওঁর এই আচরণ মানা যায় না। একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের মন্তব্যের কী প্রতিক্রিয়া এ দেশে হতে পারে, সেটা ওঁকে বুঝতে হবে। আর তার চেয়েও বেশি জরুরি ওঁর এটা বোঝা, ঠিক আর ভুলের পার্থক্য কীভাবে করতে হয়।
বিসিসিআই সূত্রের খবর, হার্দিকের মন্তব্য অশোভন, কুরুচিকর আখ্যা দিয়ে বিসিসিআই এমন ভাবনাচিন্তাও করছে যে, ভবিষ্যতে এধরনের শোয়ে, যেখানে ক্রিকেটের কোনও ব্যাপার নেই, ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাজির থাকার অনুমতি আদৌ দেওয়া হবে কিনা।
হার্দিক এখন অস্ট্রেলিয়া সফরকারী ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সঙ্গে আছেন। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এশিয়া কাপের সময় পিঠে আঘাত পেয়ে জখম হার্দিক সুস্থ হয়ে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের আগে টিমে সামিল হন। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারত তিনদিনের যে একদিনের সিরিজ শুরু হচ্ছে, তাতে মাঠে দেখা যাবে তাঁকে।