নয়াদিল্লি: একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে যৌনগন্ধী ও মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ভারতীয় দলের দুই ক্রিকেটার হার্দিক পান্ড্য ও কেএল রাহুল। এরইমধ্যে প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)-র প্রধান বিনোদ রাই বলেছেন, বিসিসিআইয়ের উচিত দুই খেলোয়াড়কে সংশোধন করা, ওদের কেরিয়ার খতম করে দেওয়া নয়।


এদিকে,হার্দিক ও রাহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে বিসিসিআইয়ের অন্দরে মতপার্থক্য সামনে এসেছে। বিসিসিআই-এর দশটি শাখা ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে  ওম্বাডসম্যান নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। প্রশাসকদের কমিটির অন্যতম সদস্য ডায়না এডুলজি এই ঘটনায় সিওএ এবং বোর্ডের কার্যকর্তাদের দিয়ে তদন্ত চেয়েছেন।

বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,  নতুন করে জারি করা শোকজ নোটিশের জবাবে দুই খেলোয়াড় নিঃশর্তে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। সিওএ প্রধান বোর্ডের নয়া সংবিধানের ৪১ (সি) ধারা অনুযায়ী তদন্ত চালাতে সিইও-কে নির্দেশ দিয়েছেন।

এডুলজি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।  হার্দিক ও রাহুল যে মন্তব্য করেছিলেন, তা অনুপযুক্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

দুই ক্রিকেটারকে অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিশ্বকাপের আর মাত্র চার মাস দেরী।এই অবস্থায় হার্দিক ও রাহুলের ভাগ্য এখন ঝুলছে। এরইমধ্যে রাই এডুলজিকে পাঠানো ইমেলে মন্তব্য করেছেন, তরুণদের কেরিয়ার নষ্ট বিসিসিআই-এর কাজ নয়।

তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হতে পারে বলে এডুলজি যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তা দূর করারও চেষ্টা করেছেন রাই। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তদন্ত চালানো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা নয়। রাই আরও বলেছেন, ভারতের ক্রিকেটের স্বার্থ মাথায় রাখতে হবে। ওই দুই প্লেয়ারের আলটপকা মন্তব্য নিন্দনীয়। ওদের তিরস্কার করা, সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওযার মতো পদক্ষেপ বোর্ডের দায়িত্ব। কাজের প্রতিফল ভোগের পর ওদের মাঠে ফেরাতে হবে।

রাই বলেছেন, আন্তর্জাতিক সফর থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর দুই ক্রিকেটার এমনিতেই বিড়ম্বনায় পড়েতে হয়েছে। কিন্তু ন্যায়বিচারের স্বার্থে ওদের কথাও শুনতে হবে।

দুই ক্রিকেটারের মাঠে ফিরতে পারার বিষয়টি এখনও ঝুলেই রয়েছে। রাই বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরিকে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এডুলজি সহ বোর্ডের সদস্যরা অন্য কিছু চাইছেন।

বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী জহুরির তদন্ত চালানোর অধিকার রয়েছে বলে মনে করেন রাই। কিন্তু এডুলজি মনে করেন, জহুরির বিরুদ্ধে অতীতে যৌননিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। তাই তাঁকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়।

এরইমধ্যে বোর্ডের ১০ টি রাজ্য শাখা বিশেষ সাধারণ সভার আর্জি জানিয়েছে বোর্ডের কার্যনির্বাহী সভাপতি সিকে খন্নাকে প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন খন্না এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখার বলে জানিয়েছেন একটি রাজ্য শাখার সদস্য।