মেহেসানা: টোকিও প্যারালিম্পিক্সে রুপো জিতেছেন গুজরাতের মেহেসানার মেয়ে ভাবিনাবেন পটেল। আর এরপর থেকেই আনন্দে আত্মহারা গোটা মেহেসানা। দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে মেয়ে, তাই তাঁকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছেন ভাবিনার বাবা হাসমুখভাই পটেল। ভাবিনার বাবা মনে করেন মেয়ে সোনা হাতছাড়া করলেও গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন।
রবিবার ভাবিনার সোনা জয়ের পর তাঁর বাবা বলেন, 'মেয়ে আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছে। আমরা ওকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেব। ওর ফেরার অপেক্ষায় আছি আমরা। আমরা এখানে ওর সাফল্য উদযাপন করছি সবাই মিলে।'
এদিন প্যারালিম্পিক্সে ফাইনালে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন ভাবিনা। মহিলাদের সিঙ্গলসে ক্লাব ফোর ফাইনালে পৌঁছে সোনা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ভাবিনা। কিন্তু বিশ্বের ১ নম্বর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই যে কঠিন হবে, তা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। বেজিং ও লন্ডন প্যারালিম্পিক্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ঝৌ।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই প্রথম গেমে ১১-৭ ফলে হেরে যান ভাবিনাবেন। এরপর দ্বিতীয় গেমে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ভাবিনা। পরপর তিনটে পয়েন্ট তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু ফের একবার দ্বিতীয় গেমেও জয় ছিনিয়ে নেন ঝৌ। দ্বিতীয় গেমে ভাবিনা হারেন ১১-৫ এ। তৃতীয় গেমে লড়়াইটা দারুণ করেছিলেন ভাবিনা। প্রথমে ২-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন। ৮-৬ পয়েন্ট হয় একসময় খেলায় তৃতীয় গেমে। কিন্তু এখানও শেষ হাসি হাসেন ঝৌ। তৃতীয় গেমে জিতে যান চিনের প্রতিযোগী ১১-৬ এ। এর ফলেই ৩-০ এ ম্যাচ জিতে যান তিনি।
এর আগে ভাবিনার বাবা শনিবার মেয়ে ফাইনালে ওঠার পর বলেছিলেন যে তিনি আশাবাদী যে মেয়ে সোনা জিতবেই। তবে সোনা হাতছাড়া করলেও প্যারালিম্পিক্সে দেশকে প্রথম পদক এনে দেওয়া ভাবিনার সাফল্যে মজেছে গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অন্যান্য বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভাবিনাকে।