প্যারিস: ফের একবার গত উইম্বলডন ফাইনালের দুই মহারথী সম্মুখ সমরে। অলিম্পিক্সের টেনিসের সিঙ্গলসে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন নোভাক জকোভিচ ও কার্লোস আলকারাজ। সার্বিয়ান কিংবদন্তিকে হারিয়ে গত উইম্বলডনে খেতাব জিতে নিয়েছিলেন স্পেনের তরুণ টেনিস তারকা। এবার আরও একবার দুজনে মুখোমুখি। ফাইনালের লড়াইয়ে নামার আগে কিছুটা আবেগপ্রবণ কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছানো নোভাক। ১৯৮৮ সালের পর অলিম্পিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক টেনিস প্লেয়ার হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন জকোভিচ। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সেও ফাইনালে পৌঁছেছিলেন জোকার। কিন্তু সেবার নাদালের বিরুদ্ধে হেরে রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এবার নাদাল নেই। কিন্তু ফাইনালে এবারও সামনে আরেক স্প্যানিশ তারকা।


সেমিফাইনালে লরেঞ্জো মুসেত্তিকে ৬-৪, ৬-২ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন জোকার। তিনি বলছেন, ''আমি এই মুহূর্তটার জন্য ২০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। এটা আমার পঞ্চম অলিম্পিক্স। এর আগে আরও চারটি অলিম্পিক্স খেলেছি আমি। আমি সেমিফাইনালের গণ্ডি কখনও পেরতে পারিনি। প্রথম চারটি অলিম্পিক্সের মধ্যে তিনটি সেমিফাইনালে আমি হেরেছি। এবার অনেক কষ্টে সেই হার্ডল টপকেছি। সত্যি বলতে আমি এবার সেমিফাইনালে খেলার সময় আমার আগের চারটি অলিম্পিক্সের কথা ও আগের সেমিতে হারের ম্য়াচগুলোর কথাই ভাবছিলাম। এবার ফের তা হোক কখনওই চাইনি।'' দ্বিতীয় সেটের সময় কিছুটা নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন সে কথাও স্বীকার করে নিলেন জোকার। সার্বিয়ান টেনিস তারকা বলছেন, ''দ্বিতীয় সেট শুরু হওয়ার আগে ও চলাকালিন আমি একটু নার্ভাসও ছিলাম। শুধু এটুকু বলতে পারি যে আমি খুব খুশি হয়েছি যে সেমির হার্ডল টপকাতে পেরেছি।'' 


উল্লেখ্য, এর আগে ২৪ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী জোকার দ্বিতীয় রাউন্ডে হারিয়ে দিয়েছিলেন রাফায়েল নাদাল। ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ৬-১, ৬-৪ ব্যবধানে। লাল সুরকির কোর্টে ১৪ বার গ্র্যান্ডস্লাম জেতা নাদাল যেন ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন টেনিস থেকে।


এই ম্য়াচের আগে মোট ৫৯ বার পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিলেন নাদাল ও জোকার। সার্বিয়ান টেনিস তারকা ৩০-২৯ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এই ম্য়াচের পর সংখ্যাটা ৩১-২৯ হয়ে গেল। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সের সেমিতে জোকারকে হারিয়েছিলেন নাদাল। সেবার সোনাও জিতেছিলেন স্প্যানিশ তারকা। আলকারাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে পুরুষদের ডাবলসে জয়ের পরই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন যে আদৌ তিনি খেলতে নামতে পারবেন কি না সিঙ্গলসে। কিন্তু ফুকসোভিচের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তবে জকোভিচের সামনে আটকে যেতে হয়েছিল ২০ গ্র্যান্ডস্লামের মালিককে।