নয়াদিল্লি: আমি অন্ধকারের যাত্রী, প্রভু আলোর দৃষ্টি দাও।
কর্নাটকের চিক্কামাগালুরু গ্রামের দৃষ্টিশক্তিহীন রক্ষিতা রাজু (Rakshitha Raju) অবশ্য নিজের জীবনের গতিপথ পুরোপুরি ঈশ্বরের ওপর সঁপে দিতে নারাজ। বরং, নিষ্ঠা, সাধনা ও পরিশ্রমের জোরে তিনি নিজেই ছাপ ফেলে যেতে নিজেকে তৈরি করেছেন। প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে (Paris Paralympics 2024) নজির গড়তে চলেছেন রক্ষিতা। ২৮ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া প্যারালিম্পিক্সে মহিলাদের ১৫০০ মিটার দৌড়ের টি ১১ বিভাবে নামছেন তিনি। প্যারালিম্পিক্সে এর আগে ভারতের কোনও মহিলা অ্যাথলিট এই বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। যা রক্ষিতার সংকল্পের প্রতিফলন।
রক্ষিতার পথ সুগম ছিল না। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারান তিনি। মামার বাড়িতে মানুষ হন তিনি। তাঁর দিদার কাছে। দিদাও মূক ও বধির। দৃষ্টিহীনদের স্কুল আশাকিরণে পড়ার সময় থেকেই রক্ষিতার অ্যাথলেটিক্সের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। এরপর তিনি তাঁর স্কুলের শরীরশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করতে শুরু করেন রক্ষিতা। তাঁর কোচ ও গাইড রাহুল বালকৃষ্ণ।
রক্ষিতা প্রথম সকলের নজর কেড়ে নেন হাংঝাউ প্যারা এশিয়ান গেমসে। যেখানে তিনি সোনা জিতেছিলেন। এবার তাঁর লক্ষ্য প্যারালিম্পিক গেমসের মঞ্চ থেকেও সোনা নিয়ে দেশে ফেরা। ২২ বছর বয়সী অ্যাথলিট প্যারিসে যেতে পেরে উচ্ছ্বসিত।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'বিশ্বের সেরা অ্যাথলিটদের সঙ্গে লড়ব ভেবে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। এই মেগা ইভেন্টে আমি পদক জিততে চাই। জানি সেই সুযোগও রয়েছে। প্যারিস থেকে সোনা জেতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।'