সিডনি: একার হাতে সিরিজের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার নজির ক্রিকেটবিশ্বে ভুরি ভুরি রয়েছে। তবু, সিরিজের নাম যদি হয় অ্যাশেজ আর কীর্তিমান যদি ভেঙে দেন চার দশকের রেকর্ড, তাহলে নজিরের ভিড়েও তা অনন্য হয়ে থাকে, বলাই বাহুল্য।
ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২ বছর আগে। ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজে (The Ashes)। যে সিরিজকে সম্মানের যুদ্ধ মনে করা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ থাকে অনেকটা ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের মতোই।
২০১৯ সালের অ্যাশেজের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। ভেঙে দিয়েছিলেন ৪২ বছরের রেকর্ড। কীভাবে?
দু'বছর আগের অ্যাশেজে ২৯টি উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স। ৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে বল করে কোনও ইনিংসেই ৫ উইকেট পাননি। কামিন্স ভেঙে দিয়েছিলেন ৪২ বছরের পুরনো রেকর্ড। যে রেকর্ড ছিল ওয়েন ক্লার্কের। অ্যাশেজে কোনও ইনিংসে ৫ উইকেট না পেয়েও সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড ছিল ক্লার্কের। কামিন্স সেই কীর্তি ভেঙে নতুন নজির গড়েছিলেন। তাঁর গড় ছিল ১৯.৬৩। অর্থাৎ, উইকেট পিছু খরচ করেছিলেন মাত্র ১৯.৬৩ রান।
অ্যাশেজে ১০ ইনিংসে ২১১ ওভার বল করে আরও একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন কামিন্স। অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি ওভার বল করার নজির ছিল কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রার। ২০০৬-০৭ অ্যাশেজে ২০৯.১ ওভার বল করেছিলেন ডানহাতি পেসার। যে রেকর্ড আগের অ্যাশেজে ভেঙে দেন কামিন্স। মোট ২১১ ওভার বলে করে ফিটনেসের এক নতুন নিদর্শন তৈরি করেন।
গতি আর বৈচিত্রের মিশেলে ইংরেজ ব্যাটারদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন কামিন্স। ২০১৯ সালের অ্যাশেজে তাঁর দাপট দেখে কিংবদন্তি ডেনিস লিলি পর্যন্ত বলেছিলেন, একার হাতে ইংরেজ ব্যাটিংকে বারবার ছারখার করে দিচ্ছে প্যাট।
আগামী অ্যাশেজে কামিন্সের কাঁধে গুরুদায়িত্ব। যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নেতৃত্ব খুইয়েছেন টিম পেইন। তাঁর পরিবর্তে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন কামিন্স। এই প্রথম কোনও পেসার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
* অ্যাশেজ সিরিজ শুরু ৮ ডিসেম্বর, ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার সোনি সিক্স, সোনি টেন থ্রি ও সোনি টেন ফোর চ্যানেলে।