মুম্বই: এবার মুম্বইয়ে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন-আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেল। কর্ণাটক, গুজরাতের পর মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন-আক্রান্তের হদিশ মিলল। ওমিক্রন-আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে চতুর্থ ওমিক্রন-আক্রান্তের সন্ধান মিলল।
এর আগে এদিন গুজরাতের জামনগরে জিম্বাবোয়ে ফেরত একজনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণ থাকার কথা জানানো হয়।
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তের বয়স ৩৩। সম্প্রতি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। কল্যাণ-ডোম্বিভলির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর ওই ব্যক্তির সামান্য জ্বর হয়েছিল। তিনি করোনার কোনও টিকা নেননি। জ্বর ছাড়া তাঁর অন্য কোনও উপসর্গ ছিল না। সরকারি সূত্রে খবর, কল্যাণ-ডোম্বিভালির কোভিড কেয়ার সেন্টারে মৃদু উপসর্গ-যুক্ত আক্রান্তর চিকিৎসা চলছে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাই-রিক্স সংস্পর্শে থাকা দিল্লি-মুম্বই উড়ানের ১২ যাত্রী ও ২৩ জন লো-রিস্ক সংস্পর্শে থাকা যাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের সবার রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
মহারাষ্ট্র সরকার আরও জানিয়েছে, জাম্বিয়া থেকে আসা ৬০ বছরের ব্যক্তির করোনা নমুনা পরীক্ষায় ওমিক্রনের হদিশ মেলেনি। তবে তাঁর নুমনা পরীক্ষা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাব-লাইনেজ পজিটিভ এসেছে।
এর আগে গুজরাতের রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছিল যে, জিম্বাবোয়ে থেকে আসা এক ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তাঁর নমুনা পুনেতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ভারতে দুজন করোনার নয়া ধরন ওমিক্রন আক্রান্তর হদিশ মিলেছিল। তাঁদের মধ্যে একজন কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক। তিনি আগেই করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তাঁর কোনও ভ্রমণের ইতিহাসও নেই। ৪৬ বছরের ওই চিকিৎসকের জ্বর ও গায়ে ব্যথার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অন্য আর এক আক্রান্ত ৬৬ বছরের দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই তিনি ভারতে এসেছিলেন।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, গুজরাতের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তর হদিশ মিলেছে জামনগরে। জিম্বাবোয়ে ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, জামনগরের ওমিক্রন আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বয়স ৭২।