মোহালি: বছর দুই আগে, ২০২১ সালে শেষবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Bangalore) অধিনায়কত্ব করতে দেখা গিয়েছিল বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। ওই মরসুম শেষেই তিনি আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়বেন বলে মরসুমের মাঝপথেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর গত মরসুমে ফাফ ডুপ্লেসিই (Faf du Plessis) আরসিবিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে আজ, পাঞ্জাব কিংস ম্যাচে সকলকে চমকে আরসিবির অধিনায়ক হিসাবে টস করতে মাঠে নামেন বিরাট কোহলি।
অধিনায়ক বিরাট
টস করতে নেমে বিরাট জানান দলের নিয়মিত অধিনায়ক ফাফের পাঁজরে চোট লেগেছে, সেই কারণেই ফাফ এই ম্যাচে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসাবেই মাঠে নামবেন। তিনি ব্যাট করবেন বটে, তবে ফিল্ডিং করবেন না। তাঁর বদলে বিজয়কুমার বিশাখ আরসিবির ফিল্ডিংয়ে সময় মাঠে নামবেন। প্রসঙ্গত, বিরাট কোহলি এর আগে আরসিবিকে ১৪০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আরসিবির নেতত্বে ছিলেন বিরাট। এই সময়কালে তিনি ৬৪টি ম্যাচ জিতেছেন, ৬৯ ম্যাচ হেরেছেন।
বিরাটের নেতৃত্বে অবশ্য একবারও আইপিএল খেতাব জিততে পারেনি আরসিবি। তবে একমাত্র দল হিসাবে বিগত তিন মরসুমের প্রত্যেকটিতেই প্লে-অফে আরসিবি নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। এ মরসুমে অবশেষে বহুকাঙ্খিত খেতাব আরসিবি নিজেদের ঘরে তুলতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার বিষয়। অপরদিকে, এই ম্যাচে পাঞ্জাবের নিয়মিত অধিনায়ক শিখর ধবনও খেলছেন না। তিনি এখনও চোট সারিয়ে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে উঠতে পারেননি। তাই গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সহ-অধিনায়ক স্যাম কারান।
ট্রায়ালে অভিমন্যু
টানা পাঁচ ম্যাচে হার। প্যানিক বাটন প্রেস করে দিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) কর্তারা। দলের সব ভারতীয় ব্যাটাররা ব্যর্থ।অগত্যা আনক্যাপড ও নিলামে অবিক্রিত দুই ক্রিকেটারকে ডেকে পাঠাল দিল্লি। যাঁদের মধ্যে একজন বাংলার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। অন্যজন প্রিয়ম গর্গ। এক সময় যিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলেছেন।
দিল্লি দলের দিকে নজর রাখা আইপিএলের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ২৫ ক্রিকেটারকে নেওয়া যেতে পারে যে কোনও দলে। দিল্লি দলে ইতিমধ্যেই ২৫ জন রয়েছে। তাই কীভাবে কারও পরিবর্ত নেওয়া যায়, দেখা হচ্ছে। আপাতত শুধু এটুকু বলা যেতে পারে যে, দুই ক্রিকেটারই ট্রায়ালের জন্য আসছেন। পৃথ্বী শ রান পাচ্ছেন না। যশ ধূল, ললিত যাদব, কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে লাল বলের দুই বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠাল দিল্লি ক্যাপিটালস।
দিল্লি দলে ফিটনেসের অভাবে ভুগছেন একমাত্র খলিল আমেদ। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট রয়েছে তাঁর। তবে দিল্লি শিবির আশাবাদী যে, খলিল ফিট হয়ে যাবেন। দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্টের আতঙ্ক অবশ্য স্বাভাবিক কারণেই। কিন্তু তাই বলে অভিমন্যু ঈশ্বরণ? অনেকেই বাংলার ক্রিকেটারকে ট্রায়ালে ডাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কারণ, ওয়ান ডে ক্রিকেটেও তাঁকে নিয়মিত মনে করা হয় না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ২৭টি মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তাও গত ১০ বছরের কেরিয়ারে। ওপেনার হিসাবে মাত্র ১২১ স্ট্রাইক রেট। একটিমাত্র সেঞ্চুরি রয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়ের রাস্তায় ফিরতে দলে পরিবর্তনের ভাবনা, কেমন হতে পারে দিল্লি ম্যাচে কেকেআর একাদশ?