মুম্বই: কুস্তিগীরদের হেনস্থার প্রতিবাদে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট করতে দেখা যায়নি। দেননি কোনও বিবৃতিও। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) কেন এই পরিস্থিতিতে নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল যুব কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ে সচিনের বাড়ির সামনে বিশালাকার হোর্ডিংও লাগানো হল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।


সেই হোর্ডিংয়ে লেখা রয়েছে, 'সচিন, আপনি ভারতরত্ন, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, কিংবদন্তি ক্রিকেটার। কিন্তু কুস্তির কোচদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠলেও আপনি চুপ কেন? বছরের পর বছর ধরে এই কোচদের বিরুদ্ধে তরুণী কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানি ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। আপনি তো দেশের কণ্ঠ। আপনার কথা এই মেয়েদের অনেক সমর্থন করতে পারত। দয়া করে মুখ খুলুন আর ওদের ন্যায়ের জন্য কিছু বলুন।'


মুম্বইয়ের যুব কংগ্রেস থেকে এও দাবি করা হয়েছে যে, সচিন যেন তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সমস্ত অভিযুক্ত কোচদের বিচারের ব্যবস্থা করেন।


বৃহস্পতিবার মহাবীর ফোগত (Mahavir Phogat) কুস্তিগীরদের আন্দোলনে গর্জে উঠলেন। জানিয়ে দিলেন, ব্রিটিশ সরকারকে যেভাবে দেশের মানুষ উৎখাত করেছিল, সেভাবেই এই কেন্দ্রীয় সরকারকেও সরিয়ে দেবে আমআদমি।


বিনেশ, ববিতা, সঙ্গীতা ফোগতদের বাবা মহাবীর ফোগত বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'মেয়েদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না। এই সরকারকে দেশের মানুষই উৎখাত করবে। ঠিক যেভাবে ব্রিটিশদের দেশছাড়া করেছিল।'


হরিয়ানার বলালি গ্রামে মহাবীর বলেছেন, 'আমি সব কিছুর ঝুঁকি নিয়ে মেয়েদের পদক জেতার মতো দক্ষ করে তুলেছি। আজ ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না। খুব দুঃখের ব্যাপার যে, গঙ্গায় পদক ছুড়ে ফেলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল ওদের। কৃষক নেতারা ওদের অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন। এবার গোটা দেশ একত্রিত হবে। এই সরকার ফেলে দেবে। সরকার যদি উদ্যোগী হয়ে সমস্যা না মেটায়, তাহলে ব্রিটিশদের যেভাবে উৎখাত করেছিল, সেভাবেই এই সরকারকে সরানো হবে।'


দিল্লিতে কুস্তিগীরদের (Wrestler Protest) হেনস্থায় প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও কলকাতায় প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের।


বৃহস্পতিবার ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে নন্দলাল সরকার চলছে। কুস্তিগীরদের আন্দোলনের পাশে আছি আমরা। কুস্তিগীরদের জন্য আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। দেশের জন্য লড়াই করে পদক জিতেছেন কুস্তিগীররা। সেই কুস্তিগীরদের ওপরেই অত্যাচার, জুলুম মেনে নেওয়া যায় না।'


এদিন মোমবাতি মিছিলও করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সঙ্গে হাঁটেন ময়দানের তিন প্রধানের প্রতিনিধিরা। হাজির ছিলেন ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে অন্যান্য খেলার তারকারাও। মমতা বলেন, 'রাস্তায় আছি, থাকব, রাস্তাই আমাদের পথ দেখাবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্রিজভূষণ গ্রেফতার হবেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।'