কায়রো: বিশ্বমঞ্চে পদক বাংলার প্রণতি নায়েকের (Pranati Nayek)। মিশরের কায়রোতে আয়োজিত আর্টিস্টিক জিমন্য়াস্টিকের বিশ্বকাপে (Gymnastics World Cup) তৃতীয় স্থানে শেষ করলেন এই তরুণী। ফল আরও ভাল করলে হয়ত প্যারিস অলিম্পিক্সের টিকিট পাকা হতে পারত, কিন্তু তা হল না। অন্য়দিকে রিও অলিম্পিক্সে সাড়া জাগানো দেশের তারকা জিমন্য়ান্স দীপা কর্মকার (Deepa Karmakar) শেষ করলেন পাঁচ নম্বরে। উল্লেখ্য, ভল্ট ইভেন্টে ১৩.৬১৬ স্কাের করেছেন প্রণতি। অন্য়দিকে, প্রায় পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আগরতলার দীপা। পদক না জিতলেও শেষ পর্যন্ত পাঁচে শেষ করেন তিনি।


 






এর আগে যোগ্যতা অর্জন পর্বে সপ্তম স্থানে ছিলেন প্রণতি। তাঁর পয়েন্ট ছিল ১৩.১৬৬। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে পদক জিতলেন প্রণতি। এর আগে অরুণা বুড্ডা রেড্ডি ও দীপা কর্মকার ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে পদক জিতেছিলেন। পদক জিতলেও এখনও প্যারিস অলিম্পিক্সের টিকিট নিশ্চিত নয় প্রণতির। ছেলেদের ও মেয়েদের বিভাগে প্রথম ২ সেরা জিমন্য়াস্টই সুযোগ পেয়েছেন অলিম্পিক্সে। তবে এখনও আশা শেষ হয় যায়নি। বিশ্বকাপের এটি ছিল প্রথম ধাপ। আগামী ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি জার্মানি, ৭-১০ মার্চ আজারবাইজান ও ১৭-২০ এপ্রিল দোহায় টুর্নামেন্টের আরও তিনটি পর্ব রয়েছে। 


বিশ্বকাপের মঞ্চে সোনা জিতেছেন উত্তর কোরিয়ার আন চ্যাং ওক। তিনি স্কোর করেছেন ১৪.২৩৩।  রুপো জিতেছেন বুলগেরিয়ার ভ্যালেন্টিনা জর্জিয়েভা। তাঁর স্কোর ১৩.৬১৬। সমান পয়েন্ট পেলেও প্রণতি টেকনিক্যাল দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছিলেন। তাই তাঁকে ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এদিকে, প্রণতির সাফল্যে খুশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়


 






বেশ কয়েক বছর ধরেই জিমন্য়াস্টিকে পরিচিত মুখ প্রণতি। বিশেষ করে ২০১৮ সালের মেলবোর্ন বিশ্বকাপে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করার পর থেকে। গত বছর এশিয়ান গেমসে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সের অলরাউন্ড ও ভল্ট দুটোরই ফাইনালে উঠেছিলেন পিংলার এই মেয়েটি। প্রণতির পারফরম্য়ান্সের পর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। বাবা এক সময়ে বাস ড্রাইভার ছিলেন। কিন্তু মেয়ের প্রস্তুতিতে যাতে কোনও খামতি না হয়, তাই ২০০৩ সালে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। কোচ মিনারা বেগমের অধীনে পথ চলা শুরু এখানে। এখন ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছেন প্রণতি।