কলকাতা: হুট বলতেই ছুটের মতো সুগার এসে হাজির হয় না। বরং এই সমস্যা অনেক আগেই আসার খবর দিয়ে রাখে। বেশ কয়েকটি লক্ষণ আগে থেকেই দেখা যায়। প্রিডায়াবেটিস আদতে তাই। এটি ডায়াবেটিসের আগের পর্যায়। এই পর্যায়ে সুগার সাধারণের থেকে বেশি থাকে। কিন্তু খুব বেশি থাকে না। টাইপ ২ ডায়াবেটিস বলার মতো থাকে না সুগার। তাই এই অবস্থায় কিছু অভ্যাস বদলালেই সুগার এড়ানো সম্ভব।


প্রিডায়াবেটিস আদতে কী ?


প্রিডায়াবেটিস ডায়াবেটিস বা সুগার হওয়ার আগের অবস্থা। এই অবস্থায় সুগার সাধারণ মাত্রার থেকে বেশি থাকে। কিন্তু টাইপ ২ ডায়াবিটিস মাত্রার থেকে কম থাকে। একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে নিয়মিত অনুশাসন মেনে চলতে হয়। তা না হলেই মাথা চাড়া দেয় সুগার। কিন্তু প্রিডায়াবেটিসে সেই ভয় নেই। কারণ মনোবল ও ইচ্ছে থাকলে এই অবস্থা থেকে ফিরে আসা সম্ভব।


প্রিডায়াবেটিস রেঞ্জ (Prediabetes Range)


চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রিডায়াবেটিসকে একটি রেঞ্জ দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। সুগার মাত্রা মাপার একক গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন বা HbA1C। সুগার মাত্রা ১ থেকে ৫.৭-এর মধ্যে থাকলে তা সাধারণ। ৫.৭ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে সুগার থাকলে তা প্রিডায়াবেটিসের লক্ষণ। ৬.৫ এর বেশি বাড়লে তা সুগার বা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই সময় ডায়াবেটিস সামাল দিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। প্রয়োজনে ওষুধ খেতে হয়।


প্রিডায়াবেটিস কমানোর উপায় (Lifestyle Changes For Prediabetes)


জীবনযাপনে কিছু বদল আনলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। প্রিডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। পাশাপাশি রুটিন মেনে চলাও প্রয়োজনীয়।



  • বেশি পরিমাণে শাকসবজি - পাতে বেশি পরিমাণে শাকসবজি রাখতে হবে। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। ফাইবার প্রদাহজনিত রোগ ঠেকায়। এই তালিকাতেই রয়েছে ডায়াবেটিস। ফাইবার ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।অন্যদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন সাফ করে।

  • কার্বোহাইড্রেট কম - কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। ভাত, রুটির পরিমাণ কমাতে হবে। রোজকার ক্যালোরি ইনটেক সীমিত রাখতে হবে।

  • সময়মাফিক খাওয়াদাওয়া - ডায়াবেটিসের একটি বড় কারণ অসময়ে খাওয়াদাওয়া। আসলে এটি মেটাবলিক ডিজিজ। অর্থাৎ শরীরের নিজস্ব মেটাবলিজমে সমস্যা হলে ডায়াবেটিস দেখা দেয়। তাই শরীরের বায়োক্লক মেনে খাবার খেতে হবে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - ঘরে বসে কাজ করে কোমর-পিঠে ব্যথা ? ৪ ব্যায়ামই মুশকিল আসান