অঞ্জন চক্রবর্তী, কলকাতা : ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড আতঙ্ক। রাজ্য থেকে দেশ রোজই আগের রেকর্ড ভাঙছে সংক্রমণ, মৃত্যুর সংখ্যা। আতঙ্কের এই পরিবেশের জন্য বাড়তি ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে অন্য জটিল রোগাক্রান্তদের। এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলার ফুটবলাররা।
কলকাতার উপকন্ঠে ডানকুনির গরলগাছায় এক ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর পরিবারের হাতে অর্থসাহায্য তুলে দেওয়ার জন্য প্রীতি ম্যাচে খেলতে নামলেন বাংলার বর্তমান-প্রাক্তন ফুটবলাররা। রহিম নবি, দীপক মন্ডল, অসীম বিশ্বাস, অভ্র মন্ডল, সুব্রত পাল থেকে প্রীতম কোটাল, নারায়ণ দাস, মহম্মদ রফিকরা।
বর্তমান-প্রাক্তন ফুটবলারদের একসঙ্গে জড়ো করে প্রীতি ম্যাচ খেলা ও তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্যানসার আক্রান্ত শিশুটির বাবার হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছিলেন এক ফুটবলার। তিনি রাণা ঘরামি।
গত মাস ছয়েক বছর নয়েকের অন্বেষা মালের ক্যানসার ধরা পড়ে। কর্কট রোগের চিকিৎসকার প্রবল খরচ চালানোর ঝক্কি সামলানো খবর তার পরিবারের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন হুগলির ডানকুনির গরলগাছার ছেলে রাণা। ম্যাচের শেষে এবিপি লাইভের সঙ্গে ফোনালাপে রাণা বলছিলেন, ‘আতঙ্কের এই অবস্থার মধ্যেও সবাই এগিয়ে না এলে আজকের ম্যাচটা করা সম্ভব হত না। যাবতীয় কোভিড বিধি বজায় রেখে ম্যাচটা আয়োজন করা হয়েছিল।’
এটিকে মোহনবাগান তথা ভারতের জাতীয় দলের ফুটবলার প্রীতম কোটাল এবিপি লাইভকে বলছিলেন, ‘আমাদের অল্প প্রয়াসে যদি বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে ওঠে তার থেকে আনন্দের আর কী আছে। তাই সবাই মিলে চেষ্টা করলাম যেটা করা সম্ভব।’
প্রীতি ম্যাচের পর শিশুটির পরিবারের হাতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয় প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটির-র পক্ষ থেকে। বাংলার বর্তমান ও প্রাক্তন ফুটবলারদের যে সংগঠনের এহেন উদ্যোগ এই প্রথম নয়।
সঞ্জয় পাত্রের ক্যানসারের সাহাযার্থে হোক বা ধনরাজনের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পাশে থাকতে, এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা একসঙ্গে হয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। তবে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে আগামী কিছুদিন একসঙ্গে মাঠে নামা থেকে তারা দূরে থাকবেন বলেই জানাচ্ছেন ফুটবলাররা।