ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা : বিক্ষোভ-বচসা থেকে হাতাহাতি। আর বিক্ষুব্ধ দুই দলকে বাগে আনতে পুলিশের লাঠিচার্জ। যা থেকে কার্যত পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। লেডলি ক্লডিয়াস সরণী সাক্ষী থাকল অবাক করা ঘটনাক্রমের। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরই দুই সমর্থকগোষ্ঠীর বিবাদের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল ময়দানে। লাল-হলুদ ক্লাবের সামনে একদল ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি রেখেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, ইনভেস্টরের চুক্তিপত্রে দ্রুত সই করে যাতে আইএসএল খেলার পথ সুগম করেন লাল-হলুদ কর্তারা। অপরদিকে অন্যদল সমর্থকদের দাবি ছিল, ইনভেস্টরের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করলে ক্লাবের স্বার্থে আঘাত লাগবে, তাদের কথা মতো 'ক্লাব বেচে দেওয়া যাবে না ইনভেস্টরদের'। আর দুই দলের যে বিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনের এলাকা।


কদিন আগে ইস্টবেঙ্গলের কর্মসমিতির বৈঠকেও ক্লাবের কর্তারা ইনভেস্টরের চুক্তিপত্রে সই না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গত কয়েকমাস ধরেই ইনভেস্টরদজের সঙ্গে বিবাদ চলছিল কর্তাদের। চুক্তির কিছু শর্ত ঘিরে বিবাদ। যার জেরেই ক্লাবকর্তাদের চুক্তিতে সই না করার জেরে ইনভেস্টরদের পিছিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই একদল ইস্টবেঙ্গল সমর্থক প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাদের দাবি 'মালিকানা আগলে রেখে ক্লাবের আইএসএল খেলাকে বিপাকে ফেলছেন কর্তারা।' সেই দাবিতেই এদিন তারা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছিলেন। যে খবর পেয়ে হাজির হয়েছিলেন ইনভেস্টরদের চুক্তির বিপক্ষে ও কর্তাদের যুক্তির পক্ষে থাকা লাল-হলুদ সমর্থকরাও।



পুলিশের পক্ষে দু-পক্ষের ভিড় জমতে শুরু হতে দেখেই জানানো হয়েছিল, কোভিড পরিস্থিতিতে এই ধরণের বিক্ষোভ করা যায় না। যার পর পুলিশের সঙ্গেও একপ্রস্থ বিবাদে জড়ান সমর্থকরা। যার পর দুই পক্ষের বিক্ষোভ কার্যত রণংদেহী চেহারা নেয়। যার জেরেই পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে হাজির হন ডিসি সাউথ। প্রায় ঘণ্টা দুই বিক্ষোভের পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। যার পর পুলিশি পদক্ষেপে যা আয়ত্তে আসে।