নয়াদিল্লি: মহম্মদ আজহারউদ্দিন, কীর্তি আজাদের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার নভজ্যোত সিংহ সিধু এখন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। সদ্য অবসর নেওয়া হরভজন সিংহও কি এবার রাজনীতিতে যোদ দেওয়ার পথে? এই প্রাক্তন অফস্পিনারের কথায় তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।


রাজনীতিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে হরভজন বলেছেন, ‘আমি সব দলের রাজনীতিবিদকেই চিনি। আমি যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিই, তাহলে তার আগে ঘোষণা করব। রাজনীতির মাধ্যমে হোক বা অন্য কোনওভাবে, আমি পঞ্জাবের সেবা করব। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’


১০ দিন আগেই সিধুর সঙ্গে হরভজনকে দেখা যায়। তাঁদের ছবি ট্যুইট করে সিধু লেখেন, ‘সম্ভাবনাময় ছবি। উজ্জ্বল তারকা ভাজ্জির সঙ্গে।’


এই ট্যুইট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিধু বলেছেন, ‘ছবিটাই সবকিছু বলে দিচ্ছে। ছবিটা সম্ভাবনাপূর্ণ।’


একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হরভজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সিধু। তিনি চাইছেন, সদ্য প্রাক্তন এই ক্রিকেটার কংগ্রেসে যোগ দিন। কারণ, হরভজন দলে যোগ দিলে দোয়াবা অঞ্চলে কংগ্রেসের শক্তি বাড়তে পারে।


কিছুদিন আগে শোনা যাচ্ছিল, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন হরভজন। কিন্তু এই ক্রিকেটার নিজেই সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার বিষয়ে যে জল্পনা চলছে, তা নেহাতই গুজব।


ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সফল স্পিনার হরভজন। তিনিই প্রথম ভারতীয় বোলার, যিনি টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন। ২০০১-এ ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি হ্যাটট্রিক করেন। এই সিরিজে ভারতীয় দলের ঐতিহাসিক জয়ে এই অফস্পিনারের বড় অবদান ছিল। ১৮ বছর ধরে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেন তিনি। ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন হরভজন। গতকাল তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন।