জাকার্তা: আবারও সোনা অধরাই রইল পি ভি সিন্ধুর। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় চাইনিজ তাইপেইয়ের তাই জু ইং-য়ের কাছে হারলেন হায়দরাবাদী শাটলার। যদিও, প্রথম ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে এশিয়ান গেমসে জিতলেন রুপো।
এর আগে, কোনও ভারতীয় শাটলার এশিয়ান গেমসে ফাইনালে পৌঁছতে পারেননি। ফলে, সিন্ধুর ওপর প্রত্যাশার চাপ ছিলই। কিন্তু, চূড়ান্ত লড়াইয়ে হোঁচট খেয়ে ফের থেমে যেতে হল দু-নম্বরেই। ফাইনালে হেরে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল পি ভি সিন্ধুকে। এদিন ১৩-২১, ১৬-২১ পয়েন্টে তাই জু ইং-য়ের কাছে হারেন তিনি।
ফর্ম ও টেকনিকের বিচারে ভারতীয় শাটলারের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে তাই। এছাড়া, মানসিক লড়াইতেও এগিয়ে ছিলেন সিন্ধুর প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ, এর আগে শেষ পাঁচবারের লড়াইয়ে প্রতিবার সিন্ধুকে মাত দিয়েছেন তাই। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাত্র ৩৪ মিনিটেই শেষ হয়ে যায় সিন্ধুর লড়াই।
এই নিয়ে চলতি বছর তিনটি বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে হারলেন সিন্ধু। এর আগে, সাইনা নেহওয়ালের কাছে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরেছিলেন সিন্ধু। তারপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্পেনের ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হেরে যান। এবার, এশিয়ান গেমসের ফাইনালেও হারের সম্মুখীন হতে হল তাঁকে। এছাড়া, ইন্ডিয়া ওপেন ও থাইল্যান্ড ওপেনের ফাইনালেও হারতে হয় তাঁকে। গত বছরও রিও অলিম্পিকে ফাইনালেও হেরে রুপো জিতেছিলেন সিন্ধু।
যদিও, রুপো জিতেও ইতিহাস রচনা করেছেন সিন্ধু। এর আগে, কোনও ভারতীয় এশিয়ান গেমসে রুপো জেতেননি। পাশাপাশি, এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথমবার দুই ভারতীয় শাটলার পদক পেলেন। এর আগে, সেমিফাইনালে তাই জু ইং-য়ের কাছে হেরেই ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন সাইনা। তবে, সোনা হাতছাড়া করে আফশোস করছেন সিন্ধু। এদিনের ম্যাচের পর তিনি জানান, আরও একটু ধৈর্য্য ধরলেই তিনি ম্যাচ জিততে পারতেন।
তিনি নিজে মনে করেন, তাই-এর বিরুদ্ধে তাঁর কোনও মানসিক প্রতিবন্ধকতা ছিল না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তাইকে তিনি রিও অলিম্পিক্সে হারিয়েছিলেন। তবে, সাম্প্রতিক ফর্মে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন চিনা তাইপেইয়ের শাটলার। সাইনা ও সিন্ধুকে তিনি মোট ২২ বার হারিয়েছেন। হায়দরাবাদী শাটলারের আশা, অদূর ভবিষ্যতে তিনি তাঁর ফাইনালের হারের এই ধারাকে ভাঙতে সমর্থ হবেন।
এদিকে, মেয়ে রুপো জেতায় খুশি সিন্ধুর মা পি বিজয়া। তিনি জানান, মোটের ওপর তিনি খুশি। ফাইনালে মেয়ের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ জিতবে, কেউ হারবে। তাঁর মতে, ফাইনালে পৌঁছানোটাই বড় কৃতিত্বের। সিন্ধুর ওপর বাড়তি চাপ ছিল না বলেই তাঁর অভিমত। বলেন, এধরনের প্রতিযোগিতায় চাপ থাকবেই। সেটা নিয়েই খেলতে হয়।