কলকাতা: তিনি বরাবর বিতর্ক থেকে শতহস্ত দূরে থাকা ক্রিকেটার। কেরিয়ার সায়াহ্নে এসে সেই ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) যেন ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বিতর্কের সমার্থক হয়ে উঠেছেন।
জাতীয় টেস্ট দল থেকে ঋদ্ধিমানকে ছেঁটে ফেলা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরস্পরবিরোধী মন্তব্য-সহ বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এবার মুখ খুললেন বিতর্কিত অধ্যায়ের অন্যতম প্রধান চরিত্র, ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)।
রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭ রানে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে এসে জাতীয় দলের প্রধান কোচকে প্রথম প্রশ্ন সামলাতে হল ঋদ্ধিমানকে নিয়ে। রাহুল অবশ্য সংযমী গলায় বললেন, 'ওর কথায় আমি আহত হইনি। ঋদ্ধিমান সাহার প্রতি, ওর কৃতিত্ব এবং ভারতীয় ক্রিকেটে ওর অবদানের প্রতি আমি ভীষণ শ্রদ্ধাশীল। সেই জন্যই ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল সততা ও স্বচ্ছতা ওর প্রাপ্য। আমি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলায় বিশ্বাসী। আমি যা বলব তার সঙ্গে ক্রিকেটারেরা সকলে একমত হবে তা আশা করি না। তাতে লাভ হয় না। প্লেয়ারদের সঙ্গে কঠিন কথোপকথন হতে পারে, কিন্তু তাই বলে সব কিছু ধামাচাপা দিয়ে দিলাম আর কথাই বললাম না, তা ঠিক নয়।'
প্রথম একাদশ নির্বাচনের সময় স্বচ্ছতা বজায় রাখার পক্ষপাতী দ্রাবিড়। বলেছেন, 'প্রত্যেক বার প্রথম একাদশ নির্বাচনের আগে কথা বলা জরুরি। কোনও ক্রিকেটার কেন বাদ পড়ছে সেই প্রশ্নের উত্তর খোলাখুলি দেওয়া উচিত। প্লেয়ারদের খারাপ লাগা ও হতাশ হয়ে পড়া স্বাভাবিক। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, ঋষভ পন্থ এক নম্বর উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। আমি বলতে চেয়েছিলাম আমরা তরুণ একজন উইকেটকিপারকে তৈরি করতে চাই। তাতে ঋদ্ধিকে নিয়ে আমার শ্রদ্ধা পাল্টে যাচ্ছে না। আমার কাছে তো সবচেয়ে সহজ হল ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা না বলা বা আলোচনা না করা। কিন্তু আমি তা করব না। তবে একটা সময় আমি আশা করব আমি যে এই সামনাসামনি কথা বলতে পেরেছি সেই ব্যাপারটাকে সবাই শ্রদ্ধা করবে।'
ঋদ্ধিমান বিতর্কে মৌনব্রত নিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। রবিবার তিনি ইডেনে খেলা দেখতে এসেছিলেন। মাঠ ছেড়ে বেরনোর সময় তিনি বলেন, 'আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই। যা বলার নির্বাচকেরা বলবেন।'